রাজ্যের সবকটি জেলায় শিশুদের জন্য হোম গড়া হবে। স্পেশাল কেয়ার নেওয়া হবে শিশুদের। সর্বোচ্চ আদালতের বিচারপতি দীপক গুপ্তার পরামর্শক্রমে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। বিচারপতি শ্রী গুপ্তার পরামর্শে মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ত্রিপুরায় পর্যটন শিল্পের উন্নয়ন ঘটানো হবে। এখানে পর্যটন শিল্পের যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এই পরিকল্পনা যে মুখ্যমন্ত্রীর আগে থেকেই রয়েছে তাও স্বীকার করেন। রবিবার(২৯জুলাই) আগরতলায় রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে শিশুদের অধিকার বিষয়ক এক আলোচনাচক্র হয়। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সর্বোচ্চ আদালতের বিচারপতি দীপক গুপ্তা। যিনি প্রায় তিন বছর ত্রিপুরা উচ্চ আদালতের মুখ্যবিচারপতি ছিলেন। এছাড়া অনুষ্ঠানে ছিলেন উচ্চ আদালতের বর্তমান মুখ্য বিচারপতি অজয় রাস্তোগী, বিচারপতি শুভাশিস তলাপাত্র, বিচারপতি অরিন্দম লোধ, সমাজকল্যাণ ও সমাজশিক্ষা দপ্তরের মন্ত্রী সান্তনা চাকমা সহ অন্যান্যরা।
বিচারপতি দীপক গুপ্তা বলেন, শিশুদের অবজ্ঞা কিংবা শিশুশ্রম খুব বড় সমস্যা নয়। কিছুটা সচেতন হলেই এই সমস্যার সমাধান করা যায়। শিশুদের জন্য প্রতি জেলায় হোম গড়ার পরামর্শ দেন তিনি। এর সূত্র ধরেই মুখ্যমন্ত্রী বলেনহোম গরে তোলার পাশাপাশি এর প্রতি স্পেশাল কেয়ারও নেওয়া হবে। ত্রিপুরাকে পর্যটন শিল্পে উন্নত করার ক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এর জন্য সবার আগে শান্তির পরিবেশ গড়ে তুলতে হবে। তাছাড়া ভালো মানসিকতারও প্রয়োজন। কারণ পর্যটকদের ঠকানোর মানসিকতা থাকলে পর্যটন শিল্পের উন্নতি হতে পারেনা। ত্রিপুরাকে নেশামুক্ত হিসেবে গড়ে তোলার যে পরিকল্পনা মুখ্যমন্ত্রী নিয়েছেন তাও এদিন উত্থাপন করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেইসঙ্গে এও বলেন, প্রত্যেক মা একজন গৃহমন্ত্রী হতে পারেন। মা তার সন্তান ও পরিবারকে সঠিক পথে চালনা করতে পারেন। মায়েদের কথা ভেবে নরেন্দ্র মোদি সরকার উজ্জ্বলা যোজনা, আয়ুষ্মান ভারত যোজনার মতো প্রকল্পগুলি চালু করেন বলে অভিমত ব্যক্ত করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি তার বক্তব্যে বিচারপতি শ্রী গুপ্তার উচ্চ প্রশংসা করেন। বলেন, ত্রিপুরা উচ্চ আদালতের মুখ্যবিচারপতি থাকাকালীন দীপক গুপ্তাই মানুষকে সাহস যুগিয়ে ছিলেন। ওনার উপস্থিতিই মানুষের মনে সাহস যোগায়। বিচারপতি শ্রী গুপ্তা ও তার সহধর্মিণী পুনম গুপ্তার কাছে মুখ্যমন্ত্রীর আহ্বান ওনারা যেন যেকোনোও পরামর্শ মেল করে জানান। আর তা বাস্তবায়নের সম্পূর্ণ চেষ্টা করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন মুখ্যমন্ত্রী শ্রী দেব। ত্রিপুরা উচ্চ আদালতের জুভেনাইল জাস্টিস কমিটির উদ্যোগে সমাজকল্যাণ ও সমাজশিক্ষা দপ্তর এবং ত্রিপুরা ষ্টেট লিগ্যাল সার্ভিস অথরিটির সহযোগিতায় এদিনের এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
ছবিঃ সুমিত কুমার সিংহ
২৯শে জুলাই ২০১৮ইং