তন্ময় বনিক,আগরতলাঃ
কোথায় দাঁড়িয়েছে মহিলাদের নিরাপত্তা? কর্মস্থলেও নিরাপদ নয় মহিলারা। হাসপাতাল, স্কুল সহ বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলিতে সুষ্ঠু কর্মসংস্কৃতি চালু করার জন্য প্রচেষ্টা চালিয়েছে রাজ্য সরকার। কিন্তু একাংশ কর্মচারীরা বেপরোয়া ভাবে আগের মতোই কর্মসংস্কৃতি চালিয়ে যাচ্ছেন। হাসপাতালে বসে মোবাইলে সিনেমা দেখতে ব্যস্ত সহকর্মীরা। একা হাতে সবকিছু করতে হচ্ছিলো মহিলা সাফাই কর্মীটির। কাজে হাত লাগানোর জন্য বলতেই গালাগাল থেকে দৈহিক নির্যাতন। ঘটনা মঙ্গলবার(৩১জুলাই) সকালে তেলিয়ামুড়া মহকুমা হাসপাতালে। অভিযুক্তের নাম রাজু গোয়ালা। নির্যাতিতা মহিলা থানায় অভিজগ জানালেও অভিযুক্ত ব্যক্তি পুলিশের ধরাছোঁয়ার বাইরে। ঘটনার বিবরণে জানা যায়, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ হাসপাতালের জিডিএ কর্মী রাজু গোয়ালা তিনজন পুরুষ সাফাই কর্মীকে নিয়ে মোবাইলে সিনেমা দেখছিলেন। একা হাতে পুরো হাসপাতাল সাফাইয়ের কাজ করতে হচ্ছিলো মহিলা সাফাই কর্মী বকুল সরকারকে। তিনি তার সহকর্মী অন্য সাফাই কর্মীদের কাজে হাত লাগানোর জন্য বললে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন জিডিএ কর্মী রাজু। প্রথমে গালাগালের পর বকুল প্রতিবাদ জানালে তার নাকেমুখে কিলঘুসি মারতে থাকে রাজু। গুরুতরভাবে আহত করা হয় বকুলকে। খবর পেয়ে ছুটে আসেন ইনচার্জ ডাঃ অজিত দেববর্মা। তিনি এসে বকুলকে রক্ষা করেন ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন।ততক্ষনে হাসপাতাল ছেড়ে পালিয়ে যায় রাজু। পরে বেলা সাড়ে এগারোটা নাগাদ হাসপাতালে আসেন এসডিএমও ডাঃ পদ্মরাম জমাতিয়া। তিনি নির্যাতিতা মহিলা কর্মীর কাছ থেকে সব শুনে থানায় মামলা করার পরামর্শ দেন। সেই অনুযায়ী নির্যাতিতা মহিলা কর্মী তেলিয়ামুড়া থানায় অভিযোগ জানান। পুলিশ জানিয়েছে অভিযুক্তকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছেনা। ঘটনার তদন্ত চলছে। এই ঘটনায় দপ্তরের পক্ষ থেকেও দোষী ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি উঠেছে। প্রসঙ্গত, তেলিয়ামুড়ার বিধায়ক তথা বিধানসভার মুখ্য সচেতক কল্যাণী রায় হাসপাতালের স্বাস্থ্য পরিষেবার মানোন্নয়নে সম্প্রতি পাঁচ ঘণ্টার ম্যারাথন বৈঠক করেন। তা সত্বেও কেন এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার সাক্ষী হতে হলো তেলিয়ামুড়া মহকুমা হাসপাতালকে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। প্রশ্ন উঠছে, কর্মস্থলে মহিলাদের সুরক্ষা নিয়েও।
ছবিঃ সংগৃহীত
৩১শে জুলাই ২০১৮ইং
কোথায় দাঁড়িয়েছে মহিলাদের নিরাপত্তা? কর্মস্থলেও নিরাপদ নয় মহিলারা। হাসপাতাল, স্কুল সহ বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলিতে সুষ্ঠু কর্মসংস্কৃতি চালু করার জন্য প্রচেষ্টা চালিয়েছে রাজ্য সরকার। কিন্তু একাংশ কর্মচারীরা বেপরোয়া ভাবে আগের মতোই কর্মসংস্কৃতি চালিয়ে যাচ্ছেন। হাসপাতালে বসে মোবাইলে সিনেমা দেখতে ব্যস্ত সহকর্মীরা। একা হাতে সবকিছু করতে হচ্ছিলো মহিলা সাফাই কর্মীটির। কাজে হাত লাগানোর জন্য বলতেই গালাগাল থেকে দৈহিক নির্যাতন। ঘটনা মঙ্গলবার(৩১জুলাই) সকালে তেলিয়ামুড়া মহকুমা হাসপাতালে। অভিযুক্তের নাম রাজু গোয়ালা। নির্যাতিতা মহিলা থানায় অভিজগ জানালেও অভিযুক্ত ব্যক্তি পুলিশের ধরাছোঁয়ার বাইরে। ঘটনার বিবরণে জানা যায়, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ হাসপাতালের জিডিএ কর্মী রাজু গোয়ালা তিনজন পুরুষ সাফাই কর্মীকে নিয়ে মোবাইলে সিনেমা দেখছিলেন। একা হাতে পুরো হাসপাতাল সাফাইয়ের কাজ করতে হচ্ছিলো মহিলা সাফাই কর্মী বকুল সরকারকে। তিনি তার সহকর্মী অন্য সাফাই কর্মীদের কাজে হাত লাগানোর জন্য বললে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন জিডিএ কর্মী রাজু। প্রথমে গালাগালের পর বকুল প্রতিবাদ জানালে তার নাকেমুখে কিলঘুসি মারতে থাকে রাজু। গুরুতরভাবে আহত করা হয় বকুলকে। খবর পেয়ে ছুটে আসেন ইনচার্জ ডাঃ অজিত দেববর্মা। তিনি এসে বকুলকে রক্ষা করেন ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন।ততক্ষনে হাসপাতাল ছেড়ে পালিয়ে যায় রাজু। পরে বেলা সাড়ে এগারোটা নাগাদ হাসপাতালে আসেন এসডিএমও ডাঃ পদ্মরাম জমাতিয়া। তিনি নির্যাতিতা মহিলা কর্মীর কাছ থেকে সব শুনে থানায় মামলা করার পরামর্শ দেন। সেই অনুযায়ী নির্যাতিতা মহিলা কর্মী তেলিয়ামুড়া থানায় অভিযোগ জানান। পুলিশ জানিয়েছে অভিযুক্তকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছেনা। ঘটনার তদন্ত চলছে। এই ঘটনায় দপ্তরের পক্ষ থেকেও দোষী ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি উঠেছে। প্রসঙ্গত, তেলিয়ামুড়ার বিধায়ক তথা বিধানসভার মুখ্য সচেতক কল্যাণী রায় হাসপাতালের স্বাস্থ্য পরিষেবার মানোন্নয়নে সম্প্রতি পাঁচ ঘণ্টার ম্যারাথন বৈঠক করেন। তা সত্বেও কেন এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার সাক্ষী হতে হলো তেলিয়ামুড়া মহকুমা হাসপাতালকে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। প্রশ্ন উঠছে, কর্মস্থলে মহিলাদের সুরক্ষা নিয়েও।
ছবিঃ সংগৃহীত
৩১শে জুলাই ২০১৮ইং