তুলির টানে মানুষকে বেশী আঁকতে চায়না দেবলীনা। কেননা যাকে আঁকা তাকেই শুধু আঁকতে হয়। তাই জলরং আর তুলি নিয়ে নিজের ভাবনাকে একের পর এক ছবির আকার দিয়ে চলেছে সে। স্বপ্ন দেখে তার ভাবনার ছবি কোন আর্ট গ্যালারীতে প্রদর্শিত হবে আর সবাই তা ভীড় করে দেখবে।
বাবামায়ের এক সন্তান দেবলীনা চক্রবর্তী।আগরতলার স্বনামধন্য স্কুল প্রনবানন্দ বিদ্যামন্দিরের বিজ্ঞানের ছাত্রী দেবলীনা উচ্চমাধ্যমিকে প্রথম বিভাগে পাশ করে এখন মাইক্রোবায়োলজি নিয়ে ব্যাঙ্গালোরে পড়ছে। বাবা বিজনেসম্যান। মা সরকারী চাকুরীরতা। সঙ্গীত শিক্ষিকা। জয়নগরে নিজেদের বাড়ি। ছোটবেলা থেকেই মাসীর আঁকা দেখে প্রথম প্রেরণা পায়।
এরপর আঁকার ব্যাকরণে দক্ষ হবার লক্ষ্যে স্থানীয় শিল্পাঙ্গন সংস্থার তত্বাবধানে জাতীয় বোর্ড থেকে বিসারত ডিগ্রী লাভ করে। জীবনের শুরুতেই পছন্দের দাঁড়িপাল্লায় দৈনন্দিন জীবনের সবকিছুকে একদিকে রেখে আরেক দিকে শুধু ছবি আঁকাকে নিয়ে ব্যস্ত থাকতে চায় দেবলীনা। সংসারের বাস্তবতা অনেক আঘাত দিতে চাইলেও ছবি আঁকার শখ তার সবচেয়ে বড় আশ্রয় হয়ে আনন্দকে ধরে রাখতে শিখিয়েছে।
অভাবকে জয় করার এই প্রয়াস দেবলীনাকে এক সুন্দর রঙে সাজিয়ে রাখে যা রংতুলির সাহারায় ফুটে ওঠে। নিজের পায়ে দাঁড়াতে গেলে শিক্ষার উচ্চতায় পৌঁছানো উচিত বলে মনে করে সে। তাই স্বরোজগারি হয়ে জীবনের কেন্দ্রস্থলে থাকা ছবি আঁকার শখ নিয়ে আকাশ ছোঁয়ার স্বপ্নে বিভোর দেবলীনা চক্রবর্তী।
বর্তমানে এক্রাইলিক কালারে অ্যাবস্ট্রাক্ট ছবি আঁকতে খুব ভালো লাগে বলে আরশি কথা'কে জানায় সে। জীবনের প্রিয় সঙ্গী ছবি আঁকাকে নিয়েই ভবিষ্যৎ গড়ার চিন্তা করছে দেবলীনা। এরজন্য প্রতি মুহূর্তেই সুযোগের অপেক্ষায় দিন গুনে চলেছে সহজ সরল হাসির অধিকারী এই দেবলীনা।
আরশি কথা" এই দেবলীনাদের কথা ও স্বপ্নকে সবার সামনে তুলে ধরার এক দায়বদ্ধতায় কাজ করে চলেছে। দেবলীনাদের স্বপ্নপূরণ আর আরশি কথা'র সার্থকতা আগামীদিনে এক সমান্তরাল রেখায় অবস্থান করুক এই কামনা করি।
আরশি কথা"র তরফ থেকে দেবলীনা চক্রবর্তীর জন্য থাকলো অনেক শুভকামনা।
আরশি কথা"র তরফ থেকে দেবলীনা চক্রবর্তীর জন্য থাকলো অনেক শুভকামনা।
এডিটর ডেস্ক, আরশিকথা
ছবিঃ নিজস্ব
১লা আগস্ট ২০১৮ইং
Wonderful👌
উত্তরমুছুন