ভারত বাংলাদেশ সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দুদেশের মাটিকে সাময়িক ভাগ করতে পারলেও দুদেশের মানুষের হ্রদয়কে ভাগ করতে পারেনি ।ভারত বাংলাদেশের মানুষের কাছে কাঁটাতারের বেড়া যেনো দিনে দিনে অপাংক্তেয় হয়ে পড়ছে । দুটি দেশের লেখক কবি শিল্পী সাহিত্যিক বুদ্ধিজীবী সমাজসেবী যেভাবে পারস্পরিক সম্পর্কের মেলবন্ধনের ভিত্তিতে একাত্মতা অনুভব করছেন তাতে কাঁটাতারের বেড়া যেনো দিন দিন গুরুত্বহীন হয়ে পড়েছে ।
বিশেষ করে ত্রিপুরার সঙ্গে বাংলাদেশের মানুষের যে অভিন্ন হ্দয় সম্পর্ক গড়ে উঠেছে তা সত্যিই আমাদেরকে দারুণ ভাবে প্রাণিত করছে । আমরা লক্ষ্য করছি বাংলাদেশের মানুষের আনন্দে ত্রিপুরার মানুষও আনন্দ অনুভব করছেন । অন্যদিকে বাংলাদেশের মানুষের কষ্টে ত্রিপুরার জনগণ ব্যথা অনুভব করছেন । ভারত ও বাংলাদেশ বর্তমানে দুটো পৃথক রাষ্ট্র হওয়া সত্বেও এই যে একাত্মতা অনুভব করা এটাই হলো আন্তর্জাতিকতা ।
এই আন্তর্জাতিক বোধ শুরু হয়েছিল একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় থেকে । তখন ত্রিপুরার লোক সংখ্যা ছিল মাত্র পনেরো ষোল লক্ষ । আরো পনেরো ষোল লক্ষ মানুষ সেদিন অরন্যদুহিতা শ্যামলী ত্রিপুরাতে এসে উঠেছিলেন নিরুপায় হয়ে । ভারত সরকার ত্রিপুরা সরকার সেদিন যেমন তাদের আশ্রয় দিয়েছিলেন তেমনি ত্রিপুরার মানুষও সেদিন তাদের আন্তরিক ভাবেই বুকে জড়িয়ে ধরেছিলেন ।
সেই থেকে শুরু । একদিকে শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধী এবং ভারত সরকার ও ভারতীয় সেনাবাহিনীর সার্বিক সহযোগিতা আর অন্যদিকে মহান মুক্তিযুদ্ধে ত্রিপুরার মানুষের আন্তরিক সমর্থন ও অংশগ্রহণ এই মেলবন্ধনকে দৃঢ় ভিত্তির উপর দাঁড় করাতে সহায়ক হয়েছে । মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিকে বহন করে গত প্রায় অর্ধশত বছর ধরে এই মেলবন্ধন ক্রমশ বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে । দুই দেশের এই মৈত্রীর বন্ধনের মূল ভিত্তি হিসেবে কাজ করে চলেছে সংস্কৃতি । এককথায় সংস্কৃতির অসীমান্তিক শক্তির কাছে ক্রমশঃ ক্রমশই গৌন হয়ে পড়েছে কাঁটা তারের বেড়া ।
ড দেবব্রত দেবরায়, শিক্ষাবিদ
আগরতলা, ত্রিপুরা
৮ই সেপ্টেম্বর ২০১৮ইং
বিশেষ করে ত্রিপুরার সঙ্গে বাংলাদেশের মানুষের যে অভিন্ন হ্দয় সম্পর্ক গড়ে উঠেছে তা সত্যিই আমাদেরকে দারুণ ভাবে প্রাণিত করছে । আমরা লক্ষ্য করছি বাংলাদেশের মানুষের আনন্দে ত্রিপুরার মানুষও আনন্দ অনুভব করছেন । অন্যদিকে বাংলাদেশের মানুষের কষ্টে ত্রিপুরার জনগণ ব্যথা অনুভব করছেন । ভারত ও বাংলাদেশ বর্তমানে দুটো পৃথক রাষ্ট্র হওয়া সত্বেও এই যে একাত্মতা অনুভব করা এটাই হলো আন্তর্জাতিকতা ।
এই আন্তর্জাতিক বোধ শুরু হয়েছিল একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় থেকে । তখন ত্রিপুরার লোক সংখ্যা ছিল মাত্র পনেরো ষোল লক্ষ । আরো পনেরো ষোল লক্ষ মানুষ সেদিন অরন্যদুহিতা শ্যামলী ত্রিপুরাতে এসে উঠেছিলেন নিরুপায় হয়ে । ভারত সরকার ত্রিপুরা সরকার সেদিন যেমন তাদের আশ্রয় দিয়েছিলেন তেমনি ত্রিপুরার মানুষও সেদিন তাদের আন্তরিক ভাবেই বুকে জড়িয়ে ধরেছিলেন ।
সেই থেকে শুরু । একদিকে শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধী এবং ভারত সরকার ও ভারতীয় সেনাবাহিনীর সার্বিক সহযোগিতা আর অন্যদিকে মহান মুক্তিযুদ্ধে ত্রিপুরার মানুষের আন্তরিক সমর্থন ও অংশগ্রহণ এই মেলবন্ধনকে দৃঢ় ভিত্তির উপর দাঁড় করাতে সহায়ক হয়েছে । মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিকে বহন করে গত প্রায় অর্ধশত বছর ধরে এই মেলবন্ধন ক্রমশ বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে । দুই দেশের এই মৈত্রীর বন্ধনের মূল ভিত্তি হিসেবে কাজ করে চলেছে সংস্কৃতি । এককথায় সংস্কৃতির অসীমান্তিক শক্তির কাছে ক্রমশঃ ক্রমশই গৌন হয়ে পড়েছে কাঁটা তারের বেড়া ।
ড দেবব্রত দেবরায়, শিক্ষাবিদ
আগরতলা, ত্রিপুরা
৮ই সেপ্টেম্বর ২০১৮ইং