রাজ্যের বিভিন্ন বিধানসভা কেন্দ্রগুলিতে বিজেপি'র পৃষ্ঠাপ্রমুখদের নিয়ে সম্মেলন চলছে। সেখানে উপস্থিত নেতৃত্বরা পৃষ্ঠাপ্রমুখদের দায়িত্ব কর্তব্য সম্পর্কে অবগত করছেন। পাশাপাশি কাজ করতে গিয়ে পৃষ্ঠাপ্রমুখদের কোথায় কি সমস্যা হচ্ছে সে বিষয়ে দলীয় নেতৃত্বরা অবগত হচ্ছেন। রবিবার (২ নভেম্বর) বড়দোয়ালী মণ্ডলের পৃষ্ঠাপ্রমুখদের নিয়ে সম্মেলন হয় রবীন্দ্র ভবনে।
তাতে উপস্থিত ছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। ছিলেন এলাকার বিধায়ক আশিস কুমার সাহা্, বিধায়ক রামপ্রসাদ পাল সহ অন্যান্য নেতৃত্বরা। মুখ্যমন্ত্রী এদিন পৃষ্ঠাপ্রমুখদের হাতে মোমবাতি জ্বালিয়ে শপথবাক্য পাঠ করান। মুখ্যমন্ত্রী পরে তার বক্তব্যে বলেন, অগ্নি হচ্ছে সবচাইতে পবিত্র। ব্রহ্মা সবকিছু শেষ করে দিয়ে নতুনের আবিষ্কার করে। তাই কোনও শুভকাজে মোমবাতি কিংবা প্রদীপ জ্বালানো হয়। কিংবা যজ্ঞ করা হয়।
মুখ্যমন্ত্রী পৃষ্ঠাপ্রমুখদের উদ্দেশ্যে বলেন, তারা যেন যে যার দায়িত্বে থাকা প্রতিটি মানুষের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক বজায় রাখেন। তাদের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে এবং কিভাবে সরকারী সুযোগ সুবিধা পৌঁছে দেওয়া যায় সে বিষয়ে সহযোগিতা করেন। এদিন রামনগর মণ্ডলেরও পৃষ্ঠাপ্রমুখদের নিয়ে সম্মেলন হয়। প্রগতি স্কুল মাঠে এদিন দুপুরে আয়োজিত এই সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন এলাকার বিধায়ক সুরজিৎ দত্ত, দলের মুখপাত্র ডাঃ অশোক সিনহা সহ অন্যান্যরা।এখানেও মোমবাতি জ্বালিয়ে শপথবাক্য পাঠ করানো হয় পৃষ্ঠাপ্রমুখদের যেন তারা দেশ, দল এবং নিজের কর্তব্যের প্রতি অবিচল থাকেন। পৃষ্ঠাপ্রমুখদের কাজের ক্ষেত্রে কি কি সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে তা নিয়ে তারা প্রশ্ন করলে সেই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দেন ডাঃ সিনহা।
সামনেই উপ-নির্বাচন। তারপর লোকসভা নির্বাচন। তাই এর আগে পৃষ্ঠাপ্রমুখদের নিয়ে প্রতিটি মণ্ডলে সম্মেলন করে দলকে সাংগঠনিক ভাবে আরও শক্তিশালী করতে চাইছে দলীয় নেতৃত্বরা।
রাজনৈতিক মহলের অভিমত - সিপিএমের সাথে প্রতিদ্বন্ধিতা করতে হলে বিজেপি'কে দলীয় কর্মীদের যেমন সক্রিয় রাখতে হবে তেমনি ভোটারদের সঙ্গে রাখতে হবে নিয়মিত যোগাযোগ। তা বিজেপি নেতৃত্বরা ভালোভাবেই জানেন।
ছবিঃ সুমিত কুমার সিংহ
২রা ডিসেম্বর ২০১৮ইং