এক যুগের দ্বারে এসে প্রথম ফিরে পেয়েছি তোমার
হরপ্পা, মহেঞ্জোদারোর মতন মাটি খুঁড়ে খুঁড়ে
ক্ষুধার্ত সাদা বাজের মতন আকাশে উড়ে উড়ে
অপেক্ষার অক্ষাংশ পেড়িয়ে যখন তোমায় পেলাম
তখন তুমি অন্যকারো।
মকমলের মতো নরম বুকে, এখন অন্যের নিঃশ্বাস পরে
ডাঁসা ডাঁসা জলপাইয়ের মতো চোখে, এখন অন্যের দৃষ্টি পরে
সরস্বতীর সুন্দর দেহ, এখন অন্য কেউ স্পর্শ করে।
এতটা বার্ষিক গতি পেরিয়ে, তবে কেন আছি আমি অদৃশ্যকে জড়িয়ে?
ভেবেছি, প্রায় এক যুগ আগে;
তোমার বুকে মাথা রেখে, একদিন ফুসফুস ভরে বাতাস নেব
ভাঁজে ভাঁজে লুকিয়ে থাকা তোমার চুলের গন্ধ পাবো
শরীর বেয়ে পরা তোমার সমস্ত ঘাম, আমার শরীরে লেপটে নেবো
তোমার ঘামের গন্ধ পারফিউম করে আমার শার্টের বুক পকেটে মেখে নেবো
তোমার ঠোঁট, চোয়াল, কপাল, চিবুকে আমার নরম ওষ্ঠের দাগ ফেলে দেবো
রোজ সকালে তোমার মুখের প্রথম নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধটুকুও আমিই পাবো।
তার কিছুই হলো না আমার;
এক যুগের কাছাকাছি এসে তোমাকে ফিরে পেয়েছি
অথচ, তোমার চুলের গন্ধ, চিবুক, ওষ্ঠ, কপাল, চোয়াল এখন অন্যকারো
তোমার নরম শরীরে এখন অন্য কেও রোজ গন্ধ খোঁজে
আমি নেই, তোমার আপাদমস্তকে আমার কোন চিহ্ন নেই
তবু এলাম, এতকাল পরে ফিরেই যখন পেলাম
শেষ থেকে হয় যদি শুরু, শুরু থেকে শেষ যার নেই।
--মনোয়ার মানিক,বাংলাদেশ
২৭শে অক্টোবর ২০১৯