Type Here to Get Search Results !

পূর্ণ বিকশিত একটি শিশুই সুশীল সমাজের ভবিষ্যৎ ধারক ও বাহক

বিশ্বের মোট জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেকই শিশু । বাবামার ঘর আলো করে তাদের সমস্ত স্বপ্নের আধার হয়ে একটি শিশুর জন্ম হয় । সঠিক প্রতিপালনে সেই শিশুই একদিন সুন্দর সমাজ গঠনে সহায়ক হয়ে একটি দেশের স্বপ্ন সাকার করে । দেশ ও জাতির ভবিষ্যৎ কর্ণধার হয়ে শিশুদের হাতেই আগামী পৃথিবীর ভার ন্যস্ত থাকে ।  শিশুর পূর্ণ বিকাশে তার পারিপার্শ্বিক পরিবেশ একটি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে থাকে । সর্বোপরি শিশুর বাবামায়ের ভূমিকা এক্ষেত্রে সবচাইতে বেশী । সুন্দর ও সুস্থতায় ভরা জীবন সহ একজন সচেতন নাগরিক হিসাবে শিশুকে বড় করে তুলতে বাবামাকেই প্রধান ভূমিকায় থাকতে হয় । প্রযুক্তির দুরন্ত গতির সাথে তাল মিলিয়ে প্রতিযোগিতার বাজারে অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার ক্ষেত্রে ‘সময়’ নামক জীবনের বহুমূল্য প্রাপ্তিটি বর্তমানে খুবই দুর্লভ হয়ে পড়ছে । জীবিকার প্রয়োজনে বাবামা দুজনকেই সময়ের কাছে বাঁধা হয়ে থাকতে হয় । এক্ষেত্রে শিশুকে পরনির্ভরশীল করেই বড় করতে বাধ্য থাকেন বাবামায়েরাবর্তমান সমাজে শিশু লালনপালনের জন্য অনেকেই রোজগার বাড়ানোটাকেই বেশী প্রাধান্য দিয়ে থাকে । এর বাইরে তাদের নয়নের মণির সঠিক বিকাশে বাবামায়ের যে আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকতে পারে সেই ব্যাপারে জানার আগ্রহ অনেক ক্ষেত্রেই কম দেখা যায় । আধুনিক গবেষণায় দেখা গেছে বাবামায়ের উৎসাহ উদ্দীপনায় এবং সচেতনতার সংস্পর্শে যে শিশু বড় হচ্ছে তাদের মানসিক বিকাশ ও পড়াশুনার ফলাফল অন্যদের তুলনায় অনেকটাই ভালো । একটি শিশুর সার্বিক মঙ্গল কামনায় তার সাথে নিঃস্বার্থভাবে ভালবেসে অধিক সময় কাটানো এবং সর্বদা ভরসা ও নির্ভরতার আশ্বাস প্রদান করে তাকে পরিপূর্ণভাবে বোঝার ক্ষেত্রে বাবামায়ের থেকে বড় আর কেউ হতে পারে বলে জানা নেই । ঠিক তেমনি একটি শিশুর মানসিক বিকাশে প্রধান ভূমিকায় থাকা আর একটি বড় উপাদান হল সুস্থ ও সুন্দর পরিবেশ যা বদলে দিতে পারে আগামীদিনের যেকোনো প্রতিবন্ধকতার মাধ্যমকে । মোটকথা শিশুর পূর্ণ বিকাশ বলতে তার সঠিক বৃদ্ধি ও উন্নতিকে বোঝায় । প্রথমত বৃদ্ধি অর্থাৎ আকারগত পরিবর্তন যা কিনা তার স্বাস্থ্যের সঠিক উন্নতির কারনে বোঝা যায় এবং দ্বিতীয়ত উন্নতি হল গুণগত পরিবর্তন যা শুধুমাত্র আচরণের মাধ্যমেই উপলব্ধি করা যায় । এই দুইয়ের সমন্বয়েই একটি শিশুর দৈহিক , মানসিক , সামাজিক , নৈতিক ও আবেগে সার্বিক বিকাশ ঘটে যার মাধ্যমে শিশুর ব্যাক্তিত্বের মূল ভিত্তি গড়ে উঠে । এরজন্য আমাদের বড়দেরই ভূমিকা নেওয়া উচিত কারণ একটি শিশু আমাদেরই শিক্ষা সচেতনতায় ও সুন্দর সঙ্গদানে বড় হয়ে উঠে একদিন দেশের উন্নতির স্বপ্নে প্রধান ভূমিকায় থাকবে এবং সুন্দর সুশীল সমাজের ধারক ও বাহক হবে এর থেকে বড় প্রাপ্তি আর কি হতে পারে ...... পরিশেষে কবি অনিল সরকারের কয়েকটি লাইন মনে পড়ায় তাই দিয়ে ইতি টানলাম ... “ শিশুমহল করুক দখল শিশুমনের আকাশটা ... তোমরা যারা বড় শিশু রক্ষা করো বাতাসটা “ ।

প্রধান সম্পাদকের কলমে

কলাম চিত্রঃ সৌজন্যে অর্কদীপ্ত দেবনাথ
তথ্যঋণঃ সৌজন্যে ইন্টারনেট

১৪ই নভেম্বর ২০১৯

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.