করোনা প্রতিরোধে মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক।মাস্ক না পরলেই জরিমানা গুনতে হবে ১০০ টাকা।এই আইনে প্রয়োগে আগরতলা শহর সহ রাজ্য জুড়ে ব্যাপক তৎপরতা চালিয়েছে প্রশাসন।প্রশাসনের আধিকারিকরা কোথাও কোথাও পুলিশ নিয়ে অভিযানে বের হচ্ছেন।কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে,করোনা প্রতিরোধে আইন প্রয়োগে প্রশাসন যতটা তৎপর ততোটাই উদাসীন তামাকজাত দ্রব্য সেবনের বিরুদ্ধে আইন প্রয়োগে।দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী প্রকাশ্য স্থানে ধূমপান নিষিদ্ধ।
যদি কেউ প্রকাশ্য স্থানে ধূমপান করে থাকেন তাহলে দু'শো থেকে এক হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানার বিধান রয়েছে।কিন্তু এই আইন প্রয়োগে প্রশাসন কখনোই তৎপরতা দেখায়নি।
ধূমপায়ীরা অনেকেই এই আইন সম্পর্কে অবগত নন।আবার যারা জানেন তারাও সরকারের উদাসীনতার দরুন প্রকাশ্যেই ধূমপান করে থাকেন।প্রশ্ন উঠেছে,করোনা থেকে তামাকজাত দ্রব্য সেবনের কারণে বেশি সংখ্যক মানুষের মৃত্যু হওয়া সত্ত্বেও এক্ষেত্রে প্রশাসন কেন উদাসীন ? ইন্টারনেট থেকে পাওয়া তথ্যে জানা যায় প্রতি বছর দেশে গড়ে দশ মিলিয়ন লোক তামাকজাত দ্রব্য সেবনের কারণে মারা যান।প্রতি আট সেকেন্ডে এক জন লোক মৃত্যু মুখে পতিত হচ্ছেন।সারা বিশ্বে যতো সংখ্যক লোক ধূমপান করেন তার ১২ শতাংশই হচ্ছে ভারতীয়।করোনার থেকে তামাকজাত দ্রব্য সেবনের কারণে দেশে মৃত্যুর হার অনেক বেশি।করোনায় এখন পর্যন্ত প্রায় পাঁচ হাজার লোকের মৃত্যু হয়েছে।তাই সেই হিসেবে প্রশাসনকে তামাকজাত দ্রব্য সেবনের বিরুদ্ধে আইন প্রয়োগে সরকারকে কঠোর হওয়া উচিত বলে মনে করে তথ্যভিজ্ঞ মহল।কিন্তু আশ্চর্যজনক ভাবে এই বিষয়ে প্রশাসন নীরব।প্রকাশ্য স্থানে ধূমপায়ীরা শুধু নিজেরই ক্ষতি করছেন না কাছে যারা থাকছেন তাদেরও ক্ষতি করছেন।প্রত্যক্ষ ধূমপায়ী আর পরোক্ষ ধূমপায়ী - এই যা পার্থক্য।তাই সচেতন নাগরিকরা মনে করেন মাস্ক ব্যবহার না করার ফলে যেমন ভাবে জরিমানা আদায় করা হচ্ছে তেমন ভাবে প্রয়োজনে আরও কঠোর ভাবে প্রকাশ্যস্থানে ধূমপায়ীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত।
ভুলে গেলে চলবে না করোনা থেকে তামাকজাত দ্রব্য সেবনের ফলে মৃত্যুর হার অনেক বেশি।
৩০শে মে ২০২০