Type Here to Get Search Results !

করোনা আর সামাজিক সচেতনতা" ...উত্তর চব্বিশ পরগণা থেকে দেবাশীষ মজুমদার

বিজ্ঞানের হাত ধরে সভ্যতার উন্নতি হচ্ছে,মানুষ হয়েছে আধুনিক।চা খেতে খেতে সকালে সংবাদপত্র চোখ বুলিয়েই দিনের যাবতীয় দিনের খুটিনাটি জেনে অফিসের  জন্য রেডি হওয়া।বাড়ছে শিক্ষার হার, বৃক্ষছেদন করে গড়ছে সব বড় বড় বিল্ডিং।ঝা চকচকে অফিস,কথাবার্তা সব সাজিয়ে গুছিয়ে বলা।পোশাকে চাকচিক্য,নামিদামি সব গাড়ি।এলাহি সব জীবনযাপন।রান্না করবার ইচ্ছা না থাকলে অর্ডার করিয়ে পছন্দ মত খাবার আনিয়ে পেট পুজো সেরে নেওয়া।নির্দিষ্ট সময়ে অফিসের ডিউটি করে বাড়ি ফেরা।কথার যুদ্ধে বর্তমান সময়ে ঘটে চলা বিষয়ের আধিক্য।টিফিন কিংবা খাবার একে অপরের সাথে ভাগ করে খাওয়া।ছুটির দিনে জমজমাট আড্ডায় বন্ধুদের সাথে কিছুক্ষণ।তার সাথে সকালে বাজারে গিয়ে পছন্দের বাজার করা।এই সব আজ অতীত,ইতিহাসের পাতায়।এক করোনা নামক ভাইরাসের কারনে আতঙ্কে সারা বিশ্বের মানুষ কম্পমান।তার আচ আমাদের দেশে পড়তে বাধ্য হয়েছে ।বিশাল আমাদের দেশের জনসংখ্যা।এখানেই গভীর চিন্তার বিষয়।ইতিমধ্যে কয়েকহাজার মানুষের মৃত্যু।লক্ষ লক্ষ মানুষ আক্রান্ত।এর সংখ্যা প্রতিদিন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে।এর শেষ কোথায় কেউ জানে না।তবে এর থেকে মুক্তির একমাত্র পথ সচেতন মানসিকতা।সরকার তার কর্তব্য হিসাবে লক ডাউম ও আনলক এই দুটি পর্ব হিসাবে বেছে নিয়েছে।জরুরীকালীন পরিষেবা পৌঁছে দিতে সব রকম ভাবে সাহায্য করে চলেছে।কিন্তু যে মানুষটা শিক্ষিত সচেতন সে হয়তো লক ডাউন ও আনলক শব্দগুলোর গুরুত্ব বুঝতে পারছে।কিন্তু দেশের প্রান্তিক শ্রেনীর মানুষের কাছে এই শব্দগুলির প্রয়োজনীয়তা সেই ভাবে কতোটা বুঝতে পারছে।তাই সরকার প্রসাশনের তরফে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই বিষয়ে দেশের সকল নাগরিকদের সচেতন করতে হবে।কারন এটা কিন্তু কোনরকম পেশা,ধর্ম,বর্ন,লিঙ্গ,বয়স দেখে হয় না।তাই সচেতন দায়িত্বশীল নাগরিক হিসাবে মানসিকতা সকলের ঠিক থাকলে এর থেকে আমরা আশার আলো দেখতে পারি।আর সরকারী নির্দেশিকা ও সাবধানতা পালনের মধ্যে করোনা ভাইরাস নামক মহামারীকে আমরা পরাজয় করতে পারবো এটা বিশ্বাস করতে পারি।

ছবিঃসৌজন্যে ইন্টারনেট

দেবাশীষ মজুমদার
উত্তর চব্বিশ পরগণা 

২১শে জুলাই ২০২০

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.