Type Here to Get Search Results !

বাবরি মসজিদ মামলায় লালকৃষ্ণ-যোশীসহ ৩২ জনই খালাস

।। আরশি কথা ডেস্ক।।

বাবরি মসজিদ ধ্বংস মামলায় আদবানি, যোশী, উমা ভারতী সহ ৩২ অভিযুক্তই বেকসুর খালাস হলেন। একই সঙ্গে আদালত জানালেন বাবরি মসজিদ ধ্বংসের কোনও পূর্ব পরিকল্পনা ছিল না। আরও বলল, অভিযুক্তদের দোষী সাব্যস্ত করার মতো কোনও প্রমাণ দিতে পারেনি সিবিআই। সিবিআই যে ভিডিওগুলি জমা দিয়েছিল, তাতে জালিয়াতি করা হয়েছে বলে তা গ্রহণযোগ্য নয়। আদবানি ও ষোশীর মত সিনিয়ার নেতারা, সমাজবিরোধীরা যখন বাবরি মসজিদ ভাঙছিল, তখন তাদের থামানোর চেষ্টা করেছিলেন। রায় দিলেন সিবিআই বিচারক সুরেন্দ্র কুমার যাদব। আদালতে ২০০০ পাতার রায় থেকে পাঠ করেন তিনি। উত্তর প্রদেশের অযোধ্যা শহরে এক উন্মত্ত জনতা ষোড়শ শতকের বাবরি মসজিদের কাঠামো ভেঙে ফেলার প্রায় ৩ দশক পর বুধবার এই বাবরি মসজিদ ধ্বংস মামলার রায় দিল সিবিআই-এর বিশেষ আদালত। ১৯৯২এর ৬ই ডিসেম্বর বাবরি মসজিদের কাঠামোটিকে ভেঙে ফেলা হয়েছিল। যার দরুণ সাম্প্রদায়িক টেনশন তৈরি হয়েছিল, বেধেছিল দাঙ্গাও। এই ঐতিহাসিক মামলায় মুখ্য অভিযুক্তরা ছিলেন, তৎকালীন উপ প্রধানমন্ত্রী লালকৃষ্ণ আদবানি, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মুরলি মনোহর যোশী ও উমা ভারতী. উত্তর প্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কল্যাণ সিং। তবে রায়দানের সময় এরা কেউই আদালতে হাজির ছিলেন না। আদবানি, এমএম যোশী, বিনয় কাটিয়ার ও উমা ভারতী ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে হাজির ছিলেন। এই মামলায় এরা-সহ মোট অভিযুক্ত ছিলেন ৩২ জন। প্রথমে আদালতে ৪৯ জন অভিযুক্ত হয়েছিলেন। তাদের মধ্যে ১৭ জনের ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে। তবে যে অভিযুক্তরা আদালতে হাজির ছিলেন, তারা হলেন ফৈজাবাদের সাংসদ লাল্লু সিং, উন্নাওয়ের সাংসদ সাক্ষী মহারাজ, কাইসারগঞ্জের সাংসদ ব্রিজ ভুষণ শরণ সিং, রাম মন্দির ট্রাস্টের সদস্য চম্পত রাই ও আরও ২২ জন। অভিযুক্ত ৩২ জনের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারায় অভিয়োগ ছিল। যেমন অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, দাঙ্গা, বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে শত্রুতা তৈরি করা ও বেআইনী জমায়েত। এই মামলার বিচারে সিবিআই ৩৫১ জন সাক্ষীকে হাজির করেছিল এবং ৬০০ প্রমাণ জমা দিয়েছিল আদালতে।

আরশিকথা
৩০শে সেপ্টেম্বর ২০২০

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.