Type Here to Get Search Results !

১৭ই ডিসেম্বর হাসিনা-মোদি ভার্চুয়াল বৈঠকঃ বাংলাদেশ

আবু আলী, ঢাকা,আরশিকথাঃ আগামী ১৭ই ডিসেম্বর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এক ভার্চুয়াল বৈঠকে যুক্ত হবেন বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন।একই সঙ্গে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলে ২০২১ সালের ২৬শে মার্চ মোদি ঢাকায় আসতে পারেন বলেও জানান মন্ত্রী। ১৮ অক্টোবর রবিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় ঢাকায় নবনিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামীর সঙ্গে এক বৈঠকের পর এ কথা জানান পররাষ্ট্র মন্ত্রী। মন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তিতে আগামী বছরের ২৬শে মার্চ উপলে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে বাংলাদেশে আসার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তিনি আসতে পারেন। এছাড়া আগামী ১৭ই ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা-ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে ভার্চ্যুয়াল বৈঠকের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। ঢাকায় নবনিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী ৫ই অক্টোবর ত্রিপুরা সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে আসেন। গত ৮ই অক্টোবর প্রেসিডেন্টের কাছে পরিচয়পত্র পেশ করেন তিনি। ঢাকায় যোগ দেয়ার পর পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে এটাই প্রথম বৈঠক।। স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে মোদিকে আমন্ত্রণ: বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের অনুষ্ঠানে অংশ নিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ঢাকা সফরের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। ঢাকায় নবনিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামীর সাথে বৈঠক শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ড. একে আবদুল মোমেন সাংবাদিকদের জানান, ‘আমরা তাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছি এবং তাদের সম্মতি আছে।’ এর আগে, দোরাইস্বামী আশ্বস্ত করেছিলেন ডিসেম্বরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যকার ভার্চুয়াল সম্মেলনকে মোদির ব্যক্তিগত সফরের বিকল্প হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে না। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এম শাহরিয়ার আলমের সাথে বৈঠককালে তিনি বলেছিলেন, বরং এটা একটি পরিপূরক সম্মেলন হবে। ড. মোমেন বলেন, তাদের মধ্যে খুব ভাল বৈঠক হয়েছে এবং ভারতীয় হাইকমিশনার বাংলাদেশের সংবেদনশীলতা ও সমস্যাগুলো সম্পর্কে জানেন। উভয়পই লাইন অব ক্রেডিটের আওতায় থাকা প্রকল্পগুলোর সুষ্ঠু বাস্তবায়নের বিষয়ে আলোচনা করেছেন। ড. মোমেন বলেন, তারা সীমান্ত হত্যার বিষয়ে এবং দুপরে সীমান্তের জুড়ে থাকা ইস্যু মোকাবিলা করে তা বন্ধের উপায় নিয়েও আলোচনা করেছেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সম্পর্ক খুবই ভাল এবং শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবেশীদের মধ্যে বিরাজমান ইস্যুগুলো সংলাপ ও আলোচনার মাধ্যমে সমাধানে বিশ্বে এক নজির সৃষ্টি করেছে বাংলাদেশ। ভারত ও মিয়ানমারের সাথে থাকা সীমানা এবং সমুদ্রসীমা নির্ধারণের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ' এক্ষেত্রে নেতৃত্বের পরিপক্বতাও প্রদর্শিত হয়েছে।’
 


আরশিকথা বাংলাদেশ সংবাদ

১৮ই অক্টোবর ২০২০

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.