Type Here to Get Search Results !

শ্বেতী কোন মারাত্মক রোগ নয়, বললেন কসমেটোলজিস্ট ডাঃ সুকান্ত ঘোষ

শ্বেতী হচ্ছে একটি স্কিন ডিজিজ। যেখানে স্কিনের রঙ নষ্ট হয়ে যায় এবং পিগমেনটেশন হয় ও স্কিনের মধ্যে সাদা সাদা দাগ পড়ে যায়। শ্বেতী কোন মারাত্মক রোগ নয়। পৃথিবীর মোট ১.৫ শতাংশ লোকের মধ্যে ৮ শতাংশ লোক শ্বেতীতে আক্রান্ত। ইহা শিশু এবং বড় সবারই হতে পারে। শ্বেতী একটি বা একাধিক কারণে হতে পারে। মেলানিন নষ্ট হয়ে গেলেও ডেফিসিয়েন্ট ফরমেশন অব মেলানিন হলে শ্বেতী হয়। এই দুটি কারণেই কেবলমাত্র হয়না। এছাড়া জেনেটিক, অটোইমুনোন, হরমোনাল, এলার্জি এবং স্ট্রেস রিলেটেড কারণেও হয়। এছাড়া কিছু ক্যামিকেল সরাসরি চামড়াকে নষ্ট করে। এছাড়া আরও অনেক কারণে শ্বেতী হয়। শ্বেতী হচ্ছে চামড়ার একটি রোগ। যা চামড়ার মেলানিনকে নষ্ট করে দেয়। 
পৃথিবীর ২ শতাংশ লোক এবং মেক্সিকানের ৮ শতাংশ লোক এই শ্বেতীর দ্বারা আক্রান্ত। চিকিৎসাজগতে শ্বেতীকে কোন মারাত্মক রোগ হিসেবে ধরা হয়না। এটি একটি সামাজিক সিগনিফিকেন্স তাই চিকিৎসা দরকার। শ্বেতী শরীরে অন্য অংশে ক্ষতি করে না। কসমেটিক্যালি এবং পার্সোনালি এর দ্বারা আক্রান্ত রোগীরা সমাজে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। চামড়ার রঙ খুব দরকার বিশেষ করে কালো রঙের লোকদের। এখনও পর্যন্ত শ্বেতীর কোন নির্দিষ্ট কারণ বের করা যায়নি। কয়েকটি তথ্য থেকে শ্বেতী হওয়ার কারণ অনুমান করা যায়। যেমন জেনেটিক এবং ইমিউনোলজিক্যাল ফ্যাক্টর। এখানে মেলানিন সেলগুলি নষ্ট হয়ে গেলে একে বলে অটোইমোনো ডিজঅর্ডার। শ্বেতী বিশেষত আঙ্গুলের মাথায়, ঠোঁট, পা, জেনিটাল অর্গানে প্রথম শুরু হয়। 
এছাড়া ডায়াবেটিস, থাইরয়েড সমস্যা, রিউমেটিক আরথ্রাইটিসের কারণেও শ্বেতী হয়। ফিউশান হোমিওপ্যাথিক ট্রিটমেন্ট নামে যে আধুনিক চিকিৎসাপদ্ধতি রয়েছে তাতে প্রতিটি রোগীকে সঠিকভাবে মূল্যায়ন করে ফটোথেরাপি ( NBUVF, PUVA) দেওয়া হয় এবং সঠিক হোমিওপ্যাথি ঔষধ নির্বাচন করে ট্রিটমেন্ট করা হয়। 


 তথ্যঋণঃ ডাঃ সুকান্ত ঘোষ, কসমেটোলজিস্ট
 ছবিঃ সৌজন্যে ইন্টারনেট
 ২২শে মে ২০১৮ইং 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.