Type Here to Get Search Results !

রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতি এখনও উদ্বেগজনক


তন্ময় বনিক,আগরতলাঃ
রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী। উদ্ধারকার্যে কেন্দ্রের সহায়তা চাওয়ার ১২ ঘণ্টার মধ্যেই এনডিআরএফ এর জওয়ানদের রাজ্যে পাঠানো হয়। শুক্রবার ফের কৈলাশহর সফরে যান মুখ্যমন্ত্রী। 
তার আগে আগরতলায় সাংবাদিকদের জানান, ফেনী ও গোমতী নদীতে জলস্তর কমেছে। মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় একটি মনিটরিং কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার হেক্টর কৃষিজমি নদীর জলের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। 
বৃষ্টির জমা জলে কতটা ক্ষতি হয়েছে তার পূর্ণাঙ্গ হিসেব এখনো আসেনি। বন্যায় ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণে সমীক্ষার কাজ চলছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। তবে এখনই কেন্দ্রের কাছে আর্থিক সহায়তা চাওয়া হয়নি। 
 
রাজ্য সরকারের প্রাথমিক কাজ হচ্ছে দুর্গতদের উদ্ধার এবং বন্যা পরিস্থিতির মোকাবিলা করা। কৈলাশহরের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বাঁধ ভেঙ্গে মনু নদীর জল শহরে ঢুকে পড়ায় তা বের করা যাচ্ছেনা। 
সেখানে বৃহস্পতিবার(১৪জুন) রাত থেকেই উদ্ধারকার্য চালিয়েছে বহিঃ রাজ্য থেকে আসা এনডিআরএফ এর জওয়ানরা। তবে মুখ্যমন্ত্রী নিজেই স্বীকার করেন কৈলাশহরে ৩০-৩২ বছরে এত বড় বন্যা হয়নি। তাই সেখানে স্থানীয় প্রশাসনের বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় ততটা অভিজ্ঞতা নেই। রাজভবনে রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠীর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের পরই কৈলাশহরের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে বন্যা পরিস্থিতি ও উদ্ধারকার্য সম্পর্কে বিস্তারিত খোঁজ নেন। শোনেন বন্যা দুর্গতদের অভিযোগের কথা। স্থানীয় প্রশাসনের ভূমিকায় তীব্র ক্ষোভ ব্যক্ত করেন দুর্গতদের বড় একটি অংশ। সব শুনে মুখ্যমন্ত্রী কৈলাশহর মহকুমা শাসক কেশব কর এর ভূমিকায় তীব্র উষ্মা ব্যক্ত করেন। মহকুমা শাসককে সাময়িক বরখাস্তের নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। তার বিরুদ্ধে কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ তোলা হয়েছে। 
এদিকে কৈলাশহরের ইন্দিরা নগরে জল থেকে উদ্ধার হয় জাহির মিয়াঁ নামে এক ব্যক্তির মৃতদেহ। তিনদিন ধরে ঐ যুবক নিখোঁজ ছিলো। শুক্রবার(১৫জুন) দুপুরে মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় এলাকা জুড়ে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়ে দেয়। যে সমস্ত এলাকায় বন্যার জল নেমেছে সেই সমস্ত এলাকাগুলিতে এখন দেখা দিয়েছে নতুন আর এক সমস্যা। নানা রকম রোগব্যাধি ছড়িয়ে পঢ়ার আশঙ্কা রয়েছে। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন জায়গায় পাঠানো হয়েছে মেডিক্যাল টিম। বেড়েছে সাপ, জোঁক সহ নানারকম বিষাক্ত কীটপতঙ্গের উপদ্রব। বিলোনিয়ায় সর্পদংশনে মৃত্যু হয়েছে এক মহিলার। স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়া হলেও শেষ রক্ষা হয়নি। সব মিলিয়ে বলা যায় রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতি এখনও উদ্বেগজনক। 

ছবিঃ সুমিত কুমার সিংহ
১৫ই জুন ২০১৮ইং               

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.