Type Here to Get Search Results !

ভারতের মন জয়ে মরিয়া বিএনপি

ঢাকা ব্যুরো:
ভারতের আশীর্বাদ পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছে বিএনপি। যেকোনো ভাবে আগের সব সমস্যা ও ভুল বোঝাবুঝি মিটিয়ে সম্পর্ক গড়তে চায় তারা। অনেকেই বলছেন, দেরিতে হলেও বিএনপি তাদের ভুল বুঝতে পেরেছে। তাই, ভারতের রাজনৈতিক শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছেন দলটির সিনিয়র নেতারা। সম্প্রতি ভারত সফর করে আসা দলটির শীর্ষ নেতারা বলছেন, নতুন এই সম্পর্ক বিনির্মাণেই সেখানকার থিংকট্যাঙ্ক ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে তাদের আলাপ-আলোচনা হয়েছে। তবে, কোনো বিশেষ উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য নয়। জনগণের স্বার্থের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়েই বাইরের দেশগুলোর সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর সম্পর্ক উন্নয়নের তাগিদ দিচ্ছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকরা। ২০১৩ সালের মার্চে বাংলাদেশ সফরে আসেন ভারতের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি। ওই সফরে প্রণব মুখার্জির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত নির্ধারিত থাকলেও হরতালের কারণ দেখিয়ে তা বাতিল করে দেন বেগম জিয়া। এ ঘটনা বিএনপি'র সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের যে দূরত্ব আগে থেকেই ছিল, তা আরো বাড়িয়ে দেয় বলে মনে করা হয়। পরবর্তীকালে ৫ জানুয়ারির নির্বাচন এবং এর আগের ও পরের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট তৈরিতে ভারতের সক্রিয়তার অভিযোগ তোলে বিএনপি। কখনো আকারে-ইঙ্গিতে আবার কখনো সরাসরি ভারতের প্রভাব নিয়ে প্রশ্ন তোলেন দলের নেতারা। কিন্তু সম্প্রতি বিএনপি'র স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টুসহ তিন শীর্ষ নেতার ভারত সফর দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে জন্ম দিয়েছে নতুন আলোচনার। ভারত থেকে ফিরে বিএনপি নেতারা জানালেন, এই সফরে ভারতের রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, থিংকট্যাঙ্ক ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি ও নির্বাচনসহ সার্বিক বিষয় নিয়ে তাদের কথা হয়েছে। বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, ‘আওয়ামী লীগ বা বিএনপি যেই ক্ষমতায় আসুক ভারতের কি এসে যায়। ভারতের সঙ্গে আমরা কোনো সমস্যা তৈরি করবো না। ভারতের কোনো দলের সঙ্গে নয় বরং সরকারের সঙ্গে বিএনপির একটা বিশ্বাসের জায়গা ছিল। তাদের সঙ্গে যে ভুল বোঝাবুঝি তৈরি হয়েছিল তা নিরসন করে এসেছি।’ ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের শিথিলতা কাটিয়ে আস্থার বন্ধন তৈরির করার কথা বললেন বিএনপি'র শীর্ষ নেতারা। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘যদি কোনো ভুল বুঝাবুঝি হয়ে থাকে তাহলে বিগত দিনের ভুল চিন্তা করে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।’ জনগণ ও দেশের স্বার্থের বিষয়টিকে প্রাধান্য দিয়ে বাইরের দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক তৈরির তাগিদ দিচ্ছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকরা। সাবেক কূটনীতিক হুমায়ুন কবির বলেন, ‘জনগণের কল্যাণের কথা মনে রেখেই নির্বাচন, রাজনীতি, বাইরের দেশের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়গুলো ভাবতে হবে। আমার বিশ্বাস এগুলো মনে রাখলে মানুষের উপকার হবে।’ গোষ্ঠীস্বার্থে কোনো সম্পর্ক হলে তা দেশের জন্য ক্ষতিকর হবে বলেও মন্তব্য করেন এই বিশ্লেষক।

১৩ই জুন ২০১৮ইং

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.