তন্ময় বনিক,আগরতলাঃ
নিপা ভাইরাস, প্ল্যাস্টিকের আটা-ডিম আর রাবারের দুধ। কিছু গুজব কিছু আতঙ্ক হতে পারে কিছু বাস্তবও। কোনটা সত্য কোনটা মিথ্যা জানেন না কেউই। এক পক্ষকালেরও বেশী সময় ধরে নিপা ভাইরাস, প্ল্যাস্টিকের আটা ডিম এবং রাবারের দুধ আতঙ্কে ভুগছেন সাধারণ মানুষ। সোশ্যাল সাইটগুলির দরুন তা আরও দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। অথচ আশ্চর্যের বিষয় হলো রাজ্য সরকারের এনিয়ে কোনও যথার্থ স্পষ্টীকরণ কিংবা বিবৃতি নেই। নিপা ভাইরাস সংক্রান্ত বিষয়টি স্বাস্থ্য দপ্তরের। অন্যদিকে প্ল্যাস্টিকের আটা-ডিম ও রাবারের দুধ সংক্রান্ত বিষয়টি খাদ্য দপ্তরের অধীনে। কোনও একটি দপ্তরেরও এনিয়ে তেমন কোন মাথাব্যথা নেই। এর ফলে ধোঁয়াশার মধ্যেই থাকতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। সম্প্রতি নিপা ভাইরাস নিয়ে নানারকম জনশ্রুতি রয়েছে। কেউ বলছেন ফল খাবেন না। যে ফলের উপর বাদুর এসে বসে সেই ফল খেলেই নিপা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে পড়ার আশংকা রয়েছে। কেউ বলছেন শূকর থেকেও এই রোগ ছড়ায়। কাজেই শূকরের মাংস খাওয়া চলবে না। তার উপর সোশ্যাল সাইটের দৌলতে যে যার মতো করে গল্প বানিয়ে রটাচ্ছেন। কখনও নিপা ভাইরাস আমবাসায় এসে গেছে তো কখনো রানিরবাজার কখনো আবার নাকি উদয়পুর এসে গিয়েছে। আশ্চর্যজনকভাবে নীরব পুলিশের সাইবার ক্রাইম বিভাগও। যারাই এধরনের গুজব ও আতংক ছড়াচ্ছেন তাদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছেনা। নিপা ভাইরাস সত্যিকারের অর্থে কিভাবে ছড়াতে পারে, মানুষকে কি ধরণের সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে, স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে তা মোকাবিলায় কি ধরণের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে কিংবা আদৌ নেওয়া হয়েছে কিনা তা নিয়ে কোনও রকম স্পষ্টীকরণ নেই। এদিকে কিছুদিন পর পরই এখন প্ল্যাস্টিকের আটা উদ্ধারের খবর মিলছে। সোমবারও (৪জুন) বামুটিয়ায় প্ল্যাস্টিক আটার আতংক ছড়িয়ে পড়ে। তার আগে কমলাসাগর চা বাগানে প্ল্যাস্টিক আটা খেয়ে অর্ধশতাধিক শ্রমিক অসুস্থ হওয়ার অভিযোগ উঠে। এছাড়াও বিভিন্ন জায়গায় প্ল্যাস্টিকের আটা উদ্ধারের অভিযোগ পাওয়া যায়। সবকটি ঘটনাই রেশন থেকে তুলে আনা আটা নিয়ে অভিযোগ। তাছাড়া বেশ কয়েকটি ঘটনায় প্ল্যাস্টিকের ডিম পাওয়া গেছে বলেও জনমনে ভীতির সঞ্চার হয়। এখানেই শেষ নয়, সম্প্রতি একাধিক ঘটনায় রাবার মিশ্রিত দুধ পাওয়া গেছে বলেও অভিযোগ উঠে। কিন্তু আদৌ এগুলি প্ল্যাস্টিকের আটা ডিম কিনা কিংবা রাবার মিশ্রিত দুধ কিনা তা নিয়ে কোনরকম স্পষ্টীকরণ নেই খাদ্য দপ্তরের তরফে। সন্দেহের বশে কেউ আটা, ডিম, দুধ খাচ্ছেন কেউ বর্জন করছেন। কিভাবে প্ল্যাস্টিকের আটা-ডিম চিহ্নিত করা যাবে, রাবার মিশ্রিত দুধই বা কিভাবে চেনা যাবে তা নিয়ে খাদ্য দপ্তরের কোন বিবৃতি নেই। এখন পর্যন্ত আটা, ডিম কিংবা দুধের নমুনা নিয়ে খাদ্য দপ্তরের ল্যাবে পরীক্ষা করে জনসমক্ষে রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়নি। যারাই এধরনের অসাধু ব্যবসার সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে শীঘ্রই আইনানুগ ব্যবস্থাও নেওয়া উচিত বলে মনে করছেন অভিজ্ঞ মহল। নিপা ও প্ল্যাস্টিক ইস্যুতে সরকারী দপ্তরের নিরব ভূমিকায় জনমনে বাড়ছে আতংক। সোশ্যাল সাইটে গুজব ছড়ানোর ঘটনায়ও নীরব পুলিশের সাইবার ক্রাইম বিভাগ। সত্বর এই বিষয়ে লাগাম না টানলে বড় সমস্যার সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছেন তথ্যভিজ্ঞ মহল।
ছবিঋণঃ ইন্টারনেট হইতে সংগৃহীত
৪ঠা জুন ২০১৮ইং
নিপা ভাইরাস, প্ল্যাস্টিকের আটা-ডিম আর রাবারের দুধ। কিছু গুজব কিছু আতঙ্ক হতে পারে কিছু বাস্তবও। কোনটা সত্য কোনটা মিথ্যা জানেন না কেউই। এক পক্ষকালেরও বেশী সময় ধরে নিপা ভাইরাস, প্ল্যাস্টিকের আটা ডিম এবং রাবারের দুধ আতঙ্কে ভুগছেন সাধারণ মানুষ। সোশ্যাল সাইটগুলির দরুন তা আরও দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। অথচ আশ্চর্যের বিষয় হলো রাজ্য সরকারের এনিয়ে কোনও যথার্থ স্পষ্টীকরণ কিংবা বিবৃতি নেই। নিপা ভাইরাস সংক্রান্ত বিষয়টি স্বাস্থ্য দপ্তরের। অন্যদিকে প্ল্যাস্টিকের আটা-ডিম ও রাবারের দুধ সংক্রান্ত বিষয়টি খাদ্য দপ্তরের অধীনে। কোনও একটি দপ্তরেরও এনিয়ে তেমন কোন মাথাব্যথা নেই। এর ফলে ধোঁয়াশার মধ্যেই থাকতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। সম্প্রতি নিপা ভাইরাস নিয়ে নানারকম জনশ্রুতি রয়েছে। কেউ বলছেন ফল খাবেন না। যে ফলের উপর বাদুর এসে বসে সেই ফল খেলেই নিপা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে পড়ার আশংকা রয়েছে। কেউ বলছেন শূকর থেকেও এই রোগ ছড়ায়। কাজেই শূকরের মাংস খাওয়া চলবে না। তার উপর সোশ্যাল সাইটের দৌলতে যে যার মতো করে গল্প বানিয়ে রটাচ্ছেন। কখনও নিপা ভাইরাস আমবাসায় এসে গেছে তো কখনো রানিরবাজার কখনো আবার নাকি উদয়পুর এসে গিয়েছে। আশ্চর্যজনকভাবে নীরব পুলিশের সাইবার ক্রাইম বিভাগও। যারাই এধরনের গুজব ও আতংক ছড়াচ্ছেন তাদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছেনা। নিপা ভাইরাস সত্যিকারের অর্থে কিভাবে ছড়াতে পারে, মানুষকে কি ধরণের সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে, স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে তা মোকাবিলায় কি ধরণের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে কিংবা আদৌ নেওয়া হয়েছে কিনা তা নিয়ে কোনও রকম স্পষ্টীকরণ নেই। এদিকে কিছুদিন পর পরই এখন প্ল্যাস্টিকের আটা উদ্ধারের খবর মিলছে। সোমবারও (৪জুন) বামুটিয়ায় প্ল্যাস্টিক আটার আতংক ছড়িয়ে পড়ে। তার আগে কমলাসাগর চা বাগানে প্ল্যাস্টিক আটা খেয়ে অর্ধশতাধিক শ্রমিক অসুস্থ হওয়ার অভিযোগ উঠে। এছাড়াও বিভিন্ন জায়গায় প্ল্যাস্টিকের আটা উদ্ধারের অভিযোগ পাওয়া যায়। সবকটি ঘটনাই রেশন থেকে তুলে আনা আটা নিয়ে অভিযোগ। তাছাড়া বেশ কয়েকটি ঘটনায় প্ল্যাস্টিকের ডিম পাওয়া গেছে বলেও জনমনে ভীতির সঞ্চার হয়। এখানেই শেষ নয়, সম্প্রতি একাধিক ঘটনায় রাবার মিশ্রিত দুধ পাওয়া গেছে বলেও অভিযোগ উঠে। কিন্তু আদৌ এগুলি প্ল্যাস্টিকের আটা ডিম কিনা কিংবা রাবার মিশ্রিত দুধ কিনা তা নিয়ে কোনরকম স্পষ্টীকরণ নেই খাদ্য দপ্তরের তরফে। সন্দেহের বশে কেউ আটা, ডিম, দুধ খাচ্ছেন কেউ বর্জন করছেন। কিভাবে প্ল্যাস্টিকের আটা-ডিম চিহ্নিত করা যাবে, রাবার মিশ্রিত দুধই বা কিভাবে চেনা যাবে তা নিয়ে খাদ্য দপ্তরের কোন বিবৃতি নেই। এখন পর্যন্ত আটা, ডিম কিংবা দুধের নমুনা নিয়ে খাদ্য দপ্তরের ল্যাবে পরীক্ষা করে জনসমক্ষে রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়নি। যারাই এধরনের অসাধু ব্যবসার সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে শীঘ্রই আইনানুগ ব্যবস্থাও নেওয়া উচিত বলে মনে করছেন অভিজ্ঞ মহল। নিপা ও প্ল্যাস্টিক ইস্যুতে সরকারী দপ্তরের নিরব ভূমিকায় জনমনে বাড়ছে আতংক। সোশ্যাল সাইটে গুজব ছড়ানোর ঘটনায়ও নীরব পুলিশের সাইবার ক্রাইম বিভাগ। সত্বর এই বিষয়ে লাগাম না টানলে বড় সমস্যার সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছেন তথ্যভিজ্ঞ মহল।
ছবিঋণঃ ইন্টারনেট হইতে সংগৃহীত
৪ঠা জুন ২০১৮ইং