তন্ময় বনিক,আগরতলাঃ
আগামী লোকসভা নির্বাচনের আগে রাজনীতির অংকে অনেক উলটফের হতে পারে। তারই আগাম সঙ্কেত এখন থেকে মিলতে শুরু করেছে। অপ্রত্যাশিতভাবে সম্পূর্ণ বিপরীত মেরুর দুইটি দল যদি একে অপরের সঙ্গে হাত মেলায় তাতে অবাক হওয়ার কিছু থাকবেনা। ছোট্ট রাজ্য ত্রিপুরাতেও রাজনীতির হিসেব নিকেষ বদলাতে শুরু করেছে। তারই আভাষ পাওয়া যাচ্ছে গত তিন মাসের বিভিন্ন ঘটনা প্রবাহে। বিজেপি-আইপিএফটি জোট সরকার প্রথমবারের মতো রাজ্য বিধানসভায় বাজেট পেশ করেছে। প্রথা অনুযায়ী বাজেটের উপর আলোচনা শুরু করেন বিরোধী দলনেতা। কিন্তু সবাইকে অবাক করে দিয়ে বাজেটের ইতিবাচক দিকগুলি তুলে ধরে প্রশংসা করতে থাকেন বিরোধী দলনেতা মানিক সরকার। আর বিরোধী দলনেতার মতে নেতিবাচক দিকগুলি তুলে ধরে সমালোচনার পথে না হেটে সরকারকে পরামর্শ দেন। বৃহস্পতিবার(২১জুন) বিধানসভার দ্বিতীয় বেলার অধিবেশনে বিরোধী দলনেতার বাজেটের উপর ভাষণ শুনে বোঝাই যাচ্ছিলো না তিনি কি ট্রেজারি বেঞ্চের সদস্য না কি বিরোধী দলের। বিধায়কদের অনেকেই তখন অবাক দৃষ্টিতে বিরোধী দলনেতার দিকে তাকিয়ে ছিলেন। এক কথায় বাজেট নিয়ে সিপিএম কোনও রকম আন্দোলন কিংবা প্রতিবাদে যাবেনা তা বিরোধী দলনেতার বক্তব্য থেকেই স্পষ্ট। অথচ প্রদেশ কংগ্রেস বলেছে এই বাজেট হতাশাব্যঞ্জক। জুমলা বাজেট। বেকার, কৃষক, কর্মচারীদের জন্য বাজেটে কিছুই নেই।
এতো গেলো বাজেটের ইস্যু। সম্প্রতি রক্তদানের একটি অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী সুদীপ রায় বর্মণ রাজ্যে রক্তদানের জোয়ার আনার জন্য প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর ভূয়সী প্রশংসা করেন। কুর্ণিশ জানান প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারকে।
এদিকে সিপিএম ও তার অঙ্গ সংগঠনগুলি নির্বাচনোত্তর পরিস্থিতি নিয়ে সরব হলেও এখনও অবধি কোন আন্দোলনের পথে যায়নি। সাংবাদিক সম্মেলন ও পুলিশ হেডকোয়ার্টারে ডেপুটেশন দিয়েই দায়িত্ব খালাস করে। তাছাড়া নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর বেশ কিছু ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী ও বিরোধী দলনেতার মধ্যে সৌজন্যতা বিনিময় সবার নজর কাড়ে। আর এধরনের ঘটনাপ্রবাহ ইঙ্গিত করে আগামীদিনের রাজনীতি কোন পথে এগোচ্ছে।
রাজ্য বিধানসভায় একটি আসনও না থাকলেও সীমিত শক্তি নিয়ে বরং কংগ্রেস শাসক দল বিজেপি'র তীব্র বিরোধিতা চালিয়ে যাচ্ছে। এই অবস্থায় সিপিএমের সমর্থক যারা কট্টর বিজেপি বিরোধী তাদের একটি অংশ কংগ্রেসের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়াচ্ছেন। উল্টোদিকে বিজেপি'র সমর্থক যারা সিপিএমের তীব্র বিরোধী তাদের অনেকেই হতাশ হয়ে পড়েছেন। প্রকাশ্যে কিছু না বললেও আড়ালে আবডালে ক্ষোভ ব্যক্ত করছেন। আসছে ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচন। বিজেপিকে ঠেকাতে জাতীয় রাজনীতিতে বিরোধী দলগুলি এখন এক মঞ্চে আসতে চাইছে। রাহুল গান্ধী ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চাইছেন মহাজোট। একের বিরুদ্ধে এক প্রার্থী। কিন্তু এই জতে সিপিএমের থাকা কতটা সম্ভব ? পশ্চিমবঙ্গে বিজেপিকে ঠেকানোর জন্য মমতা সিপিএমকে কি আসন ছাড়বেন- সেটাই লাখ টাকার প্রশ্ন। তাই বিজেপি'র সঙ্গে সিপিএমের কোন গোপন বোঝাপড়া থাকবে কিনা তা নিয়ে এখন থেকেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
২২জুন ২০১৮ইং
আগামী লোকসভা নির্বাচনের আগে রাজনীতির অংকে অনেক উলটফের হতে পারে। তারই আগাম সঙ্কেত এখন থেকে মিলতে শুরু করেছে। অপ্রত্যাশিতভাবে সম্পূর্ণ বিপরীত মেরুর দুইটি দল যদি একে অপরের সঙ্গে হাত মেলায় তাতে অবাক হওয়ার কিছু থাকবেনা। ছোট্ট রাজ্য ত্রিপুরাতেও রাজনীতির হিসেব নিকেষ বদলাতে শুরু করেছে। তারই আভাষ পাওয়া যাচ্ছে গত তিন মাসের বিভিন্ন ঘটনা প্রবাহে। বিজেপি-আইপিএফটি জোট সরকার প্রথমবারের মতো রাজ্য বিধানসভায় বাজেট পেশ করেছে। প্রথা অনুযায়ী বাজেটের উপর আলোচনা শুরু করেন বিরোধী দলনেতা। কিন্তু সবাইকে অবাক করে দিয়ে বাজেটের ইতিবাচক দিকগুলি তুলে ধরে প্রশংসা করতে থাকেন বিরোধী দলনেতা মানিক সরকার। আর বিরোধী দলনেতার মতে নেতিবাচক দিকগুলি তুলে ধরে সমালোচনার পথে না হেটে সরকারকে পরামর্শ দেন। বৃহস্পতিবার(২১জুন) বিধানসভার দ্বিতীয় বেলার অধিবেশনে বিরোধী দলনেতার বাজেটের উপর ভাষণ শুনে বোঝাই যাচ্ছিলো না তিনি কি ট্রেজারি বেঞ্চের সদস্য না কি বিরোধী দলের। বিধায়কদের অনেকেই তখন অবাক দৃষ্টিতে বিরোধী দলনেতার দিকে তাকিয়ে ছিলেন। এক কথায় বাজেট নিয়ে সিপিএম কোনও রকম আন্দোলন কিংবা প্রতিবাদে যাবেনা তা বিরোধী দলনেতার বক্তব্য থেকেই স্পষ্ট। অথচ প্রদেশ কংগ্রেস বলেছে এই বাজেট হতাশাব্যঞ্জক। জুমলা বাজেট। বেকার, কৃষক, কর্মচারীদের জন্য বাজেটে কিছুই নেই।
এতো গেলো বাজেটের ইস্যু। সম্প্রতি রক্তদানের একটি অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী সুদীপ রায় বর্মণ রাজ্যে রক্তদানের জোয়ার আনার জন্য প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর ভূয়সী প্রশংসা করেন। কুর্ণিশ জানান প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারকে।
এদিকে সিপিএম ও তার অঙ্গ সংগঠনগুলি নির্বাচনোত্তর পরিস্থিতি নিয়ে সরব হলেও এখনও অবধি কোন আন্দোলনের পথে যায়নি। সাংবাদিক সম্মেলন ও পুলিশ হেডকোয়ার্টারে ডেপুটেশন দিয়েই দায়িত্ব খালাস করে। তাছাড়া নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর বেশ কিছু ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী ও বিরোধী দলনেতার মধ্যে সৌজন্যতা বিনিময় সবার নজর কাড়ে। আর এধরনের ঘটনাপ্রবাহ ইঙ্গিত করে আগামীদিনের রাজনীতি কোন পথে এগোচ্ছে।
রাজ্য বিধানসভায় একটি আসনও না থাকলেও সীমিত শক্তি নিয়ে বরং কংগ্রেস শাসক দল বিজেপি'র তীব্র বিরোধিতা চালিয়ে যাচ্ছে। এই অবস্থায় সিপিএমের সমর্থক যারা কট্টর বিজেপি বিরোধী তাদের একটি অংশ কংগ্রেসের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়াচ্ছেন। উল্টোদিকে বিজেপি'র সমর্থক যারা সিপিএমের তীব্র বিরোধী তাদের অনেকেই হতাশ হয়ে পড়েছেন। প্রকাশ্যে কিছু না বললেও আড়ালে আবডালে ক্ষোভ ব্যক্ত করছেন। আসছে ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচন। বিজেপিকে ঠেকাতে জাতীয় রাজনীতিতে বিরোধী দলগুলি এখন এক মঞ্চে আসতে চাইছে। রাহুল গান্ধী ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চাইছেন মহাজোট। একের বিরুদ্ধে এক প্রার্থী। কিন্তু এই জতে সিপিএমের থাকা কতটা সম্ভব ? পশ্চিমবঙ্গে বিজেপিকে ঠেকানোর জন্য মমতা সিপিএমকে কি আসন ছাড়বেন- সেটাই লাখ টাকার প্রশ্ন। তাই বিজেপি'র সঙ্গে সিপিএমের কোন গোপন বোঝাপড়া থাকবে কিনা তা নিয়ে এখন থেকেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
২২জুন ২০১৮ইং