দুর্গোৎসবের পর লক্ষ্মীপূজা। আর এখন চলছে দীপাবলি উৎসবের আবহ। রাজ্য জুড়ে এখন আলোর উৎসব চলছে।
এবছর অমাবস্যা তিথির মারপ্যাঁচে মঙ্গল (৬ নভেম্বর) ও বুধবার(৭ নভেম্বর) দুইদিনই দীপাবলি উৎসব চলবে। তবে বিভিন্ন মন্দির ও সার্বজনীন পূজা মণ্ডপগুলিতে মঙ্গলবার রাতেই নিশি পূজা হয়।
তবে আবহাওয়া কিছুটা ছন্দপতন ঘটিয়েছে। সারাদিন আকাশের মুখ ভার। সকালে একপ্রস্থ বৃষ্টি পূজা উদ্যোক্তাদের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলে। বৃষ্টি হয় সন্ধ্যায়ও। তার মধ্যেও বছরে একবার শ্যামা পূজা বলে কথা। তাই সন্ধ্যার পর ঘর ছেড়ে বের হন মানুষ।

প্রতিবারের মতো এবছরও উমা মহেশ্বর মন্দির, মেহার কালীবাড়ি, গোবর্ধন মহারাজের কালীপূজা, ইন্দ্রনগর কালীবাড়ির পূজায় পুণ্যার্থীদের ব্যাপক সমাগম লক্ষ্য করা যায়।

আলোর মালায় সাজিয়ে তোলা হয় আগরতলার উমা মহেশ্বর মন্দির। বিকেল থেকে বাড়তে থাকে পুণ্যার্থীদের সংখ্যা। রাত ১০টার পর শুরু হয় নিশি পূজা। জয় মা কালী সন্তান সংঘের উদ্যোগে আয়োজিত ইন্দ্রনগর কালী মন্দিরেও ব্যাপক ভক্ত সমাগম হয়েছে। প্রতিবছরই এখানে ভক্তবৃন্দের ব্যাপক ভীড় হয়। দীপাবলি উৎসব উপলক্ষ্যে বসে মেলাও। দূরদূরান্ত থেকে আসেন পুণ্যার্থীরা। এদিকে রাজধানীর বিদুরকর্তা চৌমুহনীতে গোবর্ধন মহারাজের অনুগামীরা প্রতিবছরের মতো এবছরও বেশ ঘটা করে কালীপূজার আয়োজন করেছেন।
দিনে হয় শিতলা ও ব্রহ্মা পূজা। গভীর রাতে হয় কালীপূজা। অত্যন্ত শুদ্ধাচারে ভক্তি ও নিষ্ঠার সঙ্গে পূজা হয় এখানে। এখানেও দর্শনার্থীদের ভীড় দেখা যায়।
আলোক রোশনাইয়ে সাজিয়ে তোলা হয় গোটা এলাকা। এছাড়াও অসংখ্য কালীপূজা হয় আগরতলায়। প্রায় প্রতিটি ক্লাবই শ্যামা মায়ের আরাধনায় ব্রতী হয়। এখন কোনও পাড়া বা গলিরাস্তা বাদ নেই যেখানে পূজা হয়নি। গত ক'দিন ধরেই পূজা উদ্যোক্তারা শ্যামা সংগীত বাজিয়ে চলেছেন। দীপাবলি উৎসবে বাজিপটকা পোড়ানো হলেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার তা কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। দীপাবলি উৎসব শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে আরক্ষা প্রশাসনের তরফেও সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়। উৎসব ঘিরে কোথাও কোনও অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
ছবিঃ নিজস্ব
৬ই নভেম্বর ২০১৮ইং