Type Here to Get Search Results !

ওয়ারেংবাড়িতে স্বর্ণগ্রাম শিক্ষালয় প্রতিষ্ঠা করার উদ্যোগ গ্রহণ শ্যামসুন্দর কোং জুয়েলার্সের

আগরতলা ডেস্কঃ
আবারও একটি ব্যতিক্রমী উদ্যোগে মানবিকতা বোধের দৃষ্টান্তে থাকলো স্বনামধন্য জুয়েলারি প্রতিষ্ঠান শ্যামসুন্দর কোং জুয়েলার্স।ত্রিপুরা রাজ্যের অন্তর্গত গোমতী জেলার ওয়ারেংবাড়িকে একটি আদর্শ গ্রাম প্রকল্প হিসেবে তুলে ধরার জন্য ইতিমধ্যেই সেখানে স্বর্ণগ্রাম প্রতিষ্ঠিত করার মতো মহৎ কাজে ব্রতী হয়েছে শ্যামসুন্দর।
এবার সেখানে স্বর্ণগ্রাম শিক্ষালয় স্থাপন হবে।সোমবার( ৩ জুন ) ওয়ারেংবাড়িতে এই শিক্ষালয় প্রতিষ্ঠা করার উদ্যোগ গ্রহণ করলো শ্যামসুন্দর কোং জুয়েলার্স। স্বর্ণগ্রাম শিক্ষালয় হচ্ছে শ্যামসুন্দরের একটি আবাসিক বিদ্যালয় প্রকল্প, যা ইতিমধ্যেই ওয়ারেংবাড়ির গ্লোরি একাডেমির সহযোগিতায় চালু হয়েছে।
এই আবাসিক বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য অন্যান্য পরিষেবার পাশাপাশি মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য আত্মনিয়োজিত শিক্ষক ও ক্রীড়া প্রশিক্ষক নিয়োগ সহ যথার্থ পুষ্টি প্রদান, শিক্ষাসামগ্রী এবং স্কলারশিপ প্রদান করার মতো বিষয়গুলি যুক্ত করা হচ্ছে।
স্বর্ণগ্রামের দশম বার্ষিক ক্রীড়া পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে এই ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। ক্রীড়াক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ ও দক্ষ স্বর্ণপদক জয়ী সেরা বালক বালিকা খেলোয়াড় এবং সম্ভাবনাময় প্রতিভাবানদের এদিন পুরস্কৃত করা হয়েছে আগামী দিনের এক সাফল্যের প্রত্যাশায়।
এই দুই প্রকল্পের সাথে ডাক্তার ও তাদের সহযোগীদের দ্বারা স্বাস্থ্য শিবিরেরও আয়োজন করা হয়েছে।
শ্যামসুন্দর আয়োজিত এই মহতি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এলাকার বিধায়ক বিপ্লব ঘোষ নিজ অনুভব ব্যক্ত করে বলেন, "আমি স্বর্ণগ্রামে এসে এবং ওয়ারেংবাড়ির জনসাধারণকে অভিনন্দন জানাবার সুযোগ পেয়ে খুব খুশি।" ক্রীড়া অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীদের তিনি অভিনন্দন জানান এবং শুভেচ্ছা জানান শ্যামসুন্দর কোং জুয়েলার্সকেও। তিনি আশা প্রকাশ করেন উক্ত জনবসতির মানুষ এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে আগামীদিনে আরও উন্নত জীবনযাত্রার দিকে এগিয়ে যাবে। অনুষ্ঠানের আর এক উল্লেখযোগ্য অতিথি স্বামী বোধিসত্বানন্দজী মহারাজ বলেন, "আমি শ্যামসুন্দর কোং জুয়েলার্সের অন্যান্য পদক্ষেপের মতোই এই স্বর্ণগ্রামের সাথে প্রথম থেকে যুক্ত।" তিনি আরও বলেন, "স্বর্ণগ্রাম শিক্ষালয় হচ্ছে এক উজ্জ্বল এবং আশীর্বাদ স্বরূপ প্রকল্প"। শ্যামসুন্দর কোং জুয়েলার্সের পরিচালিকা অর্পিতা সাহা বলেন, "এক স্বপ্নালোকের সন্ধানে আজ থেকে দশ বছর আগে স্বর্ণগ্রামের সূচনা হয়েছিলো। এটি আমাদের একটি বিশেষ প্রকল্প। আজ এই স্বপ্ন বৃহৎ আকারে বাস্তবায়িত হলো।"এইজন্য তিনি পৃষ্ঠপোশকতার দিক থেকে রাজ্য সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তর, সহযোগীগণ বিশেষ করে স্বর্ণগ্রামের মানুষ এবং সংবাদ মাধ্যমকে ধন্যবাদ জানান। তিনি আরও বলেন,"এখনও অনেক কাজ বাকী।" স্বর্ণগ্রাম শিক্ষালয় আগামীদিন এক নুতন পথে এগিয়ে যাবে বলে তিনি আশা ব্যক্ত করেন।


৩রা জুন ২০১৯ইং

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.