আবু আলী, ঢাকা ॥
নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদ বাংলাদেশ (হুজি) এর শীর্ষ নেতাসহ তিন জঙ্গিকে গ্রেফতার করেছে ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট (সিটিটিসি)। সিটিটিসির দাবি, এদের মধ্যে একজন আফগান ফেরত যোদ্ধা যিনি তালেবানের শীর্ষ নেতা ওসামা বিন লাদেনের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন।
৩ অক্টোবর বৃহস্পতিবার দুপুরে ডিএমপির গণমাধ্যম শাখার উপ কমিশনার মাসুদুর রহমান এ তথ্য জানান। গ্রেফতার হওয়া আসামিরা হলেন, আতিকুল্লাহ ওরফে আসাদুল্লাহ ওরফে জুলফিকার (৪৯), বোরহান উদ্দিন রাব্বানী (৪২) ও নাজিম উদ্দিন শামীম (৪৩)। ২ অক্টোবর বুধবার দিবাগত রাতে খিলক্ষেত নিকুঞ্জ-২ বড় মসজিদের মাঠ এলাকা থেকে এই তিন জঙ্গিকে গ্রেফতার করা হয়।
জঙ্গি বিরোধী অভিযানে বড় সাফল্য বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনীর। তদন্তকারীদের দাবি, সোভিয়েত বিরোধী যুদ্ধে অংশ নিতে আশির দশকের শেষের দিকে আফগানিস্তানে পালিয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশের এই যুবক। সে দেশে গিয়ে বোমা তৈরিতে বিশেষভাবে দক্ষ হয়ে ওঠে। এই সূত্র ধরে ওসামা বিন লাদেন, আইমান আল জাওয়াহেরির, মোল্লা ওমরের মতো আন্তর্জাতিক জঙ্গি নেতার সঙ্গে যোগাযোগ গড়ে ওঠে জুলফিকারের। পাক জঙ্গি সংগঠনগুলির সঙ্গেও যোগাযোগ ছিল তার। দীর্ঘদিন সৌদি আরবে থাকার পরে সে দেশে ফিরে সম্প্রতি হুজিবিকে সংগঠিত করার চেষ্টা করছিল। প্রথমে হুজিবির সাংগঠনিক সম্পাদক ছিল সে। পরে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের দায়িত্ব পায়। গত মার্চে সে বাংলাদেশে এসে নতুন করে নিষিদ্ধ সংগঠন হুজিবিকে সংগঠিত করার কাজে নামে জুলফিকার। ইতোমধ্যে সে নতুন-পুরনো অনেক সদস্যের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। এছাড়া জেলে বন্দি হুজিবি সদস্যদের জামিনে বের করে আনার জন্যও তৎপর ছিল। রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে তার তৎপরতা ছিল। রোহিঙ্গা ও কাশ্মীর ইস্যুকে কাজে লাগিয়ে নতুন সদস্য সংগ্রহ করার চেষ্টা করছিল শীর্ষ জঙ্গি আতিকুল্লাহ। তার বিরুদ্ধে খিলক্ষেত থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। তিনজনকে চারদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে তাদের হাজির করে সুষ্ঠু তদন্তের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম আশেক ইমাম চারদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
৩রা অক্টোবর ২০১৯