Type Here to Get Search Results !

চট্টগ্রাম বিমানবন্দর ও সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করতে পারবে ত্রিপুরা

সৈয়দ ইফতেখার, বিশেষ প্রতিনিধি
ঢাকা থেকে: বাংলাদেশের চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দর ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর ত্রিপুরা রাজ্য কর্তৃপক্ষ ব্যবহার করতে পারবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে এ কথা বলা হয়েছে। তারা আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনা করতে পারবে চট্টগ্রাম বিমানবন্দর ব্যবহার করে।

বুধবার (০৯ই অক্টোবর) বিকেলে ঢাকার গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। জাতিসংঘ ও ভারত সফর নিয়ে তার এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ''ত্রিপুরা আমাদের বন্ধু। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় রাজ্যটির জনগণের অবদান কখনও ভুলবার নয়। তাই ওই অঞ্চলের উন্নয়নে সবসময় পাশে থাকবে বাংলাদেশ। রাজ্যটির পানির দরকার, ফেনী নদীর পানি দেয়ার ব্যবস্থাও করেছে বাংলাদেশ।''

গেলো শুক্রবার (০৪ অক্টোবর) ভারত সফরকালে নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। বৈঠকে ঢাকা থেকে আগরতলায় ফ্লাইট চালুর বিষয়ে দুই নেতার কথা হয় বলে এক বিবৃতিতে জানা যায়। এ বৈঠক নিয়ে বুধবার প্রধানমন্ত্রী জানান, ত্রিপুরা সরকারকে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের চট্টগ্রাম বিমানবন্দর ব্যবহার করা এবং পণ্য আনা নেয়ার জন্য চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর ব্যবহারের সুযোগ দেয়া হচ্ছে।

এর আগে গত সেপ্টেম্বরে রাজ্যটি সফরকালে আমদানি-রফতানিসহ সার্বিক যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি করতে ত্রিপুরাকে চট্টগ্রাম ছাড়াও মোংলা বন্দর ব্যবহারের প্রস্তাব দেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। ত্রিপুরা ও বাংলাদেশের মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থার আরো দ্রুত উন্নয়ন ঘটানো জরুরি বলেও মত দেন তিনি। আগামী বছরের শেষ নাগাদ আগরতলা ও ঢাকার মধ্যে সরাসরি রেল যোগাযোগ চালু হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন হাছান মাহমুদ।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নয়াদিল্লি সফরে বাংলাদেশ থেকে ফেনী নদীর এক দশমিক ৮২ কিউসেক পানি ভারতকে প্রত্যাহার করতে দেওয়ার সমঝোতাও হয়েছে। আর্সেনিকের কারণে ত্রিপুরার সাব্রুমের বাসিন্দাদের খাবার পানি সংকট দেখা দিয়েছে। মানবিক দিক বিবেচনা করে প্রধানমন্ত্রী ফেনী নদী থেকে পানি দেয়ার সুযোগ দিয়েছেন।

সফরে চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর ব্যবহার করে বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে আট নির্দিষ্ট রুটে ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে পণ্য আনা-নেয়ার সুযোগও দিয়েছে ঢাকা। সই হওয়া ‘স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউরে (এসওপি)’ নির্দিষ্ট করা এই আটটি রুট হচ্ছে— চট্টগ্রাম/মোংলা বন্দর থেকে আখাউড়া হয়ে আগরতলা (ত্রিপুরা)। চট্টগ্রাম/মোংলা বন্দর থেকে বিবিরবাজার হয়ে শ্রীমন্তপুর (ত্রিপুরা)। আগরতলা (ত্রিপুরা) থেকে আখাউড়া হয়ে চট্টগ্রাম/মোংলা বন্দর। সুতারকান্দি (আসাম) থেকে শ্যাওলা হয়ে চট্টগ্রাম/মোংলা বন্দর এবং শ্রীমন্তপুর (ত্রিপুরা) থেকে বিবিরবাজার হয়ে চট্টগ্রাম/মোংলা বন্দর। চট্টগ্রাম/মোংলা বন্দর থেকে তামাবিল হয়ে ডাউকি (মেঘালয়)। চট্টগ্রাম/মোংলা বন্দর থেকে শ্যাওলা হয়ে সুতারকান্দি (আসাম)। ডাউকি (মেঘালয়) থেকে তামাবিল হয়ে চট্টগ্রাম/মোংলা বন্দর।


ছবিঃ সৌজন্যে ইন্টারনেট

৯ই অক্টোবর ২০১৯

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.