আরশি কথা

আরশি কথা

No results found
    Breaking News

    ফুল চাষে ‘হাসু’ হাসে! ⌂ মৌসুমে ২ লাখ টাকা লাভের সম্ভাবনা

    আরশি কথা
    এস আর এ হান্নান, বাংলাদেশ ॥ নানান রঙের ফুলের সমারোহে দৃস্টিনন্দন হয়ে উঠেছে বাগান। দূর থেকে দৃস্টি গেলেই কাছে গিয়ে দেখার আগ্রহ তৈরি হবে যে কারো। আর কাছে গেলে মুগ্ধ হতেই হবে। শীতের সকালে অথবা পড়ন্ত বিকেলে ওই ফুল বাগান আরো বেশি উপভোগ্য হয়ে ওঠে। এমনই এক সৌন্ধর্যময় ফুলের বাগান তৈরি করেছেন বাংলাদেশের মাগুরা জেলাধীন মহম্মদপুরের ওমেদপুর গ্রামের কাজী তৈয়েবুর রহমান হাসু। গোলাপ, কৃঞ্চকলি, গাঁদা, ডালিয়া, সূর্যমুখী ও চন্দ্রমল্লিকাসহ বিভিন্ন জাতের ফুল চাষ করছেন তিনি। ‘কাজী ফ্লাওয়ার এন্ড প্রজেক্ট’ নামে অপরূপ সৌন্ধর্যের এই বাগান গড়ে তুলেছেন হাসু। বাণিজ্যিক ভিত্তিতে ফুল চাষ করছেন বলে জানান তিনি।
    কাজী তৈয়েবুর রহমান হাসুর সাথে কথা বলে জানাগেছে, তিনি একজন ফুল প্রেমি। নব্বইয়ের দশকে শখের বশে বাড়ির আঙিণায় শোভাবর্ধণের জন্য নানান জাতের ফুল গাছ রোপণ করেন। ২০১৯ সালের জুন-জুলাইয়ে তিনি বাড়ির পাশের্^ প্রায় দুই একর জমিতে বিভিন্ন জাতের ফুলের চারা রোপণ করেন। পরম যতœ ও পরিচর্যায় এখন সেটি বিরাট ফুল বাগানে পরিণত হয়েছে। গত বছরের নভেম্বর থেকে ফুল বিক্রিও শুরু হয়েছে।
    সরেজমিনে গিয়ে দেখাগেছে, নানান রঙে ও রূপে বর্ণিল হয়ে উঠেছে ফুলের ‘কাজী ফ্লাওয়ার এন্ড প্রজেক্ট’।উপজেলার বাইরের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলার ফুল ব্যবসায়ীরা এসে কাজী ফ্লাওয়ার থেকে ফুল ক্রয় করে নিয়ে যান। আবার স্থানীয়াও শখের বশে ফুল কিনছেন। এছাড়াও অতিথি বরণে, জন্মদিনসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ঘরবাড়ি বা বিয়ের অনুষ্ঠানে বরের গাড়ি এবং বাসর ঘর সাঁজানোর জন্যও এখান থেকে ফুল ক্রয় করছেন। এ বিষয়ে কাজী তৈয়েবুর রহমান হাসু বলেন, ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় ফুলের চাষ বা ফুলের ব্যবসা এখন লাভজনক। তবে আমাদের উপজেলায় বাণিজ্যিকভাবে ফুল চাষ হয়না। মৌসুম শেষে প্রায় দুই লাখ টাকা লাভ হবে বলেও জানান তিনি।

    ১৮ই জানুয়ারি ২০২০


    3/related/default