নিজস্ব প্রতিনিধি,আগরতলাঃ
লকডাউনের তৃতীয় দিনেও রাজধানীর বিভন্ন জায়গায় পুলিশি তৎপরতা বজায় থাকে।রাজধানীর বিভিন্ন বাজারগুলিতেও এদিন অভিযান চালানো হয়।অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অমিতাভ পাল এর নেতৃত্বে এদিন অভিযান চালানো হয়।পুলিশ এদিন লাঠিচার্জ না করলেও কড়া মনোভাবই দেখায়।
লকডাউনের তৃতীয় দিনেও রাজধানীর বিভন্ন জায়গায় পুলিশি তৎপরতা বজায় থাকে।রাজধানীর বিভিন্ন বাজারগুলিতেও এদিন অভিযান চালানো হয়।অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অমিতাভ পাল এর নেতৃত্বে এদিন অভিযান চালানো হয়।পুলিশ এদিন লাঠিচার্জ না করলেও কড়া মনোভাবই দেখায়।
সকালের দিকে বিভিন্ন বাজারগুলিতে নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর দোকানে ক্রেতাদের ভীড় লক্ষ্য করা যায়।বিশেষ করে সবজি ও মুদি মালের দোকানে ভীড় ছিলো চোখে পড়ার মতো।রাজ্যে ১৪৪ ধারা ও লকডাউনের পাশাপাশি চলছে কারফিউ।বিশেষ প্রয়োজনে মানুষ বের হতে পারলেও নিজেদের মধ্যে এক মিটার দূরত্ব বজায় রাখার জন্য বলা হচ্ছে।কিন্তু বাজারগুলিতে কেউই তা মানছে না।মানুষ জটলা বেধে বিভিন্ন দোকানে জিনিষ কিনতে ব্যস্ত।অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এবিষয়ে ক্রেতা বিক্রেতাদের সতর্ক করেন।এদিনও যারা ঘর থেকে বের হয়েছেন তাদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ।
রাস্তায় বের হওয়ার কারণ জানতে চায়।তবে অধিকাংশ মানুষই জরুরী প্রয়োজনেই বাড়ি থেকে বের হয়েছেন বলে জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার।
যে কয়জন বিশেষ কারণ দেখাতে পারেন নি তাদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়।রাজধানীর বটতলা,পোস্ট অফিস চৌমুহনী,আইজিএম চৌমুহনী সহ বিভিন্ন জায়গায় বেশ কড়া ভাবেই চেকিং হয়।তবে লকডাউনের প্রভাব বেশ ভালোভাবেই লক্ষ্য করা যাচ্ছে।মানুষ সহযোগিতা করছেন।কয়েকটি ব্যতিক্রমী ঘটনা ছাড়া মানুষ বিশেষ প্রয়োজন না হলে ঘর থেকে বের হচ্ছেন না।রাস্তাঘাট ফাঁকা।অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের দোকান ছাড়া সমস্ত দোকানপাটই বন্ধ।বন্ধ রয়েছে গণ পরিবহন ব্যবস্থা।সবজি,মুদিমাল ও ঔষধের দোকানগুলিতেই ভীড় দেখা যায় ক্রেতাদের।সরকারি অফিসগুলিও চলছে হাতেগোনা কয়েকজন কর্মীর উপস্থিতিতেই।অন্যদের বাড়িতে বসে কাজ করতে বলা হয়েছে।
ছবিঃ সুমিত কুমার সিংহ
২৬শে মার্চ ২০২০