আইজিএম হাসপাতালে ৩০টি ও জিবি হাসপাতালে ৪০টি শয্যা প্রস্তুত রাখা হয়েছে করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য।লক ডাউনের দিনগুলিতে অন্যান্য রোগে আক্রান্ত রোগীরা যেন ঠিক ভাবে পরিষেবা পান তার জন্য হাপানিয়াস্থিত টিএমসি হাসপাতালে এবং আইএলএস হাসপাতালে বিনামূল্যে ওপিডিতে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়।
শুক্রবারের পর শনিবারও (১৮ এপ্রিল ) অনেক রোগী বিনামূল্যে এই দুই হাসপাতালের ওপিডিতে চিকিৎসা করান।তবে ওষুধ দেওয়া হয়নি। বরং ডাক্তাররা ব্যবস্থাপত্রে যে ওষুধ লিখেছেন তার সিংহভাগই জেনেরিক মেডিসিন কাউন্টারে নেই।রোগীদের বেশি দাম দিয়ে বাজারের দোকান থেকে ওষুধ কিনতে হয়েছে।শনিবার টিএমসি হাস্পাতাল ও আইএলএস পরিদর্শন করেন আইনমন্ত্রী রতন লাল নাথ।
শুক্রবার টিএমসিতে ২৪৯ জন এবং আইএলএস হাসপাতালে ১৮জন ওপিডিতে বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা পান।শনিবার ( ১৮ এপ্রিল ) টিএমসিতে ২৮০ জন এবং আইএলএস হাসপাতালে ৩৫ জন রোগী পরিষেবা নিয়েছেন।মন্ত্রী শ্রী নাথ এদিন দুইটি হাসপাতাল পরিদর্শন করেন।কথা বলেন কর্তব্যরত ডাক্তারদের সঙ্গে।তিনি জানান,লক ডাউন ঘোষণার পর থেকে হাসপাতালগুলিতে ওপিডি বন্ধ ছিলো।তাই সরকার সিদ্ধান্ত নেয় এই দুইটি হাসপাতালে ওপিডি খোলা থাকলে মানুষ স্বাস্থ্য পরিষেবা নিতে পারবে।সেই মোতাবেক বিনামূল্যে ওপিডি চালু করা হয়।এদিন টিএমসিতে ওপিডি বিভাগে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে রোগীদের চিকিৎসা পরিষেবা নিতে দেখা যায়।তবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে।রোগীদের দাঁড়ানোর জন্য এক মিটার দূরত্বে বৃত্ত একে দেওয়া হয়।রোগীদের প্রথমে ফ্লু ক্লিনিকে পাঠানো হয়।সেখান থেকে পরীক্ষা নিরীক্ষার পর প্রয়োজন মোতাবেক রোগীদের যার যে বিভাগে দরকার সেখানে পাঠানো হয়েছে।
আগামী ৩ মে পর্যন্ত এভাবেই চলবে বলে টিএমসি এর তরফে জানানো হয়।এদিকে রোগীদের দাবি জেনেরিক মেডিসিন কাউন্টারে অধিকাংশ ওষুধই পাওয়া যায় না।তাই বাইরে থেকে বেশি দামে ওষুধ কিনতে হয়।তাই প্রয়োজনীয় সকল প্রকার ওষুধ যেন জেনেরিক মেডিসিন কাউন্টার বিভাগে রাখা হয়।
ছবিঃ সুমিত কুমার সিংহ
১৮ই এপ্রিল ২০২০