কী ভাষাতে প্রকাশ করবো?আর কতটা লিখবো?এই সব প্রশ্নের কোনো উওর নেই।কারন 'মা' এই শব্দটার নির্দিষ্ট কোন সীমারেখা নেই।
" মা কথাটি ছোট্ট অতি কিন্তু জেনো ভাই,
ইহার চেয়ে নাম যে মধুর ত্রিভুবনে নাই। "
একটি সন্তান জন্মগ্রহনের পর থেকে তার বেড়ে উঠা,তার শিক্ষাগত যোগ্যতা,কর্ম জগতের যে প্রবেশদ্বার, তার চাবিকাঠি - সমস্তই মা এর জন্য।তার স্বভাব চরিত্রের প্রতিফলন ঘটে সমাজে,দেশে, যার মূলে রয়েছেন মা। প্রকৃতির রাজ্যে মানুষই সর্বশ্রেষ্ঠ জীব।বহু বছরের নিরবচ্ছিন্ন ধারায় সে তার মনুষ্যত্বের পূর্ণ বিকাশ ঘটাতে সমর্থ হয়েছে।প্রেম-ভক্তি- ভালোবাসা প্রভৃতি মানবিক মহত গুনাবলীর অধিকারী হয়েছে সে।একজন আদর্শবান মানুষের ক্ষেত্রে তার শিক্ষা- দীক্ষা,জ্ঞানে-বিজ্ঞানে তার মূলে অবশ্যই তার মা।আবার সমাজের এক অন্য মায়েদের ছবি ধরা পরে যারা পেটের টানে খিদের জেরে সম্মানকে বিক্রি করে নিজের সন্তানের জন্য দুমুঠো অন্ন জোগার করে।বর্তমান সময়ে সোশাল মিডিয়াতে চোখে পড়ছে এক ভিন্ন চিত্র মায়েদের সাথে নিজের ছবি দিয়ে মাতৃ দিবস পালনের এক উৎসব। আর্থিক ভাবে সক্ষম বেশ কিছু মানুষ নিজেদের মাতাকে বৃদ্ধাশ্রমে রেখে নিজেরা আনন্দ উপভোগ করে,আবার কখনো দেখা যায় কোন অনাহারি অভাবি অন্যের কাছে লালিত।সেই সন্তানটির মা বলতে লালন করা সেই মমতাময়ী মানুষটি।আবার কেউ কেউ মনে করেন সন্তান গর্ভধারন না করলে মাতৃত্ব লাভ হয় না।সেই সব নারীরা যদি এগিয়ে এসে সামাজিক ভাবে যারা অনাথ শিশু তাদের দায়িত্ব নেয়।তা সমাজের দেশের মানুষের মঙ্গল।আর দিনরাত এক করে যারা দেশের জন্য নিবেদিত, নিজেদের জীবন দিয়ে যারা দেশকে রক্ষা করছে।তাদের কাছে, আমাদের সকলের কাছে দেশের মাটি মাতৃসম।সবশেষে বলি মা এর জন্যে সেবা করা উচিত সারাজীবন ধরে,তার জন্যই এত স্বপ্ন দেখি,আপন লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে পারি।সব সমস্যার কথা তার কাছেই নিবেদন করি।
আব্রাহাম লিঙ্কন এর মতে --- যার মা আছে ,সে কখনোই গরীব নয়।
দেবাশীষ মজুমদার,
আশ্রাফাবাদ,অশোকনগর
উত্তর ২৪ পরগণা
ছবিঃ সৌজন্যে ইন্টারনেট
১০ই মে ২০২০
দেবাশীষ মজুমদার,
আশ্রাফাবাদ,অশোকনগর
উত্তর ২৪ পরগণা
ছবিঃ সৌজন্যে ইন্টারনেট
১০ই মে ২০২০