বঙ্গভাষী মহাসভা ফাউন্ডেশন বিশ্বাস করে যে, ভারতবর্ষের যেসকল রাজ্যে বাঙালি সম্প্রদায়ের উপর শোষণ প্রতিরোধ করার জন্য বাঙালি জনগণ ও সংগঠনকে এক ছাদের নীচে আসা প্রয়োজন।সবাই ঐক্যবদ্ধ হলেই এই সমস্যার সমাধান সম্ভব বলে মনে করে বঙ্গভাষী মহাসভা ফাউন্ডেশন।এই সংগঠনের মূল লক্ষ্য বিভিন্ন ভাষাগত গোষ্ঠীর মধ্যে সামাজিক সহাবস্থান, সম্প্রীতি এবং শান্তিপূর্ণ পরিবেশ তৈরি করা এবং বাংলা সংস্কৃতির বিকাশ এবং অন্যান্য সংস্কৃতির সঙ্গে সামঞ্জস্য ঘটিয়ে সমগ্র বিশ্বে তা ছড়িয়ে দেওয়া।এইজন্য সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে বিকাশ ও সংরক্ষণের লক্ষ্যে ভারতবর্ষে বসবাসকারী সকল বাঙালী সদস্যদের সম্মিলিত স্বার্থ সুরক্ষা ও প্রচার করা।
কোনও গোষ্ঠী ও সম্প্রদায়ের উর্দ্ধে উঠে এই বাঙালী সোসাইটি তাঁদের পরিবারের দুর্দিনে পাশে থাকতে চায় এইজন্য এই ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত নিম্নলিখিত ৫টি পরিবারকে ‘বঙ্গভাষী মহাসভা ফাউন্ডেশন’-এর পক্ষ থেকে ৩০০০/- (তিন হাজার) টাকা করে আর্থিক সহযোগিতা করা হয়েছে।সাহায্যপ্রাপ্ত পরিবারগুলি হল –
১. শিলা দাস
স্বামী:-স্বর্গীয় শ্রীকান্ত দাস
কাঞ্চনপুর, উত্তর ত্রিপুরা।
(২১ নভেম্বর যিনি গুলিতে মারা যান।)
২. হরেকৃষ্ণ দাস, বয়স ৩৫
পিতা :- দেবেন্দ্র কুমার দাস, কাঞ্চনপুর উত্তর ত্রিপুরা
( ২১ নভেম্বর তার পায়ে ২টি গুলি লাগার ফলে তার পা কেটে বাদ দিতে হয়, বর্তমানে তিনি কলকাতায় চিকিৎসাধীন। )
৩. সীতেশ নাথ, বয়স ৬৫
পিতা :- স্বর্গীয় মনোরঞ্জন নাথ,
কাঞ্চনপুর, উত্তর ত্রিপুরা
( তার পায়ে একটি গুলি লাগে, বর্তমানে তিনি চিকিৎসাধীন।)
৪. গোকুল চন্দ্র দাস, বয়স -৫০
পিতা :- গৌরমোহন দাস, কাঞ্চনপুর উত্তর ত্রিপুরা
(২১ নভেম্বরের ঘটনায় গুরুতর জখম হন।)
৫. স্বর্গীয় বিশ্বজিৎ দেববর্মা
পত্নী: সুস্মিতা রিয়াং।
(যিনি ২১ নভেম্বরের ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন।)
ভবিষ্যতেও বাঙালিদের স্বার্থে নিজেদের নিয়োজিত রাখবে বলে জানিয়েছেন সংগঠনের সর্বভারতীয় সভাপতি ডঃ পি কে ব্যানার্জি এবং সম্পাদক ডঃ শুভ্র চক্রবর্তী।
আরশিকথা প্রচার বিভাগ
তথ্য ও ছবিঃ সৌজন্যে ডঃ শুভ্র চক্রবর্তী
১৭ই জানুয়ারি ২০২১