বৃহস্পতিবারের মধ্যে বাংলাদেশে যাচ্ছে উপহারের ২০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন: জাহিদ মালেক
আরশি কথাজানুয়ারী ১৯, ২০২১
0
আবু আলী, ঢাকা, আরশিকথা ॥ভারত থেকে বাংলাদেশের জন্য উপহার হিসেবে পাঠানো কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের ২০ লাখ ডোজ আজ বুধবার বা আগামীকাল বৃহস্পতিবার পৌঁছাবে।
১৯ জানুয়ারি মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের বাংলাদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এ কথা বলেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আশা করছি (ভ্যাকসিন) নির্ধারিত সময়েই আসবে। আগামীকাল আসার কথা আছে। হয়তো পরদিনও আসতে পারে। এটাই সর্বশেষ খবর।’
তিনি আরও বলেন, ভারত হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ভ্যাকসিন পাঠাবে। ‘আমি নিজে বিমানবন্দরে গিয়ে ভ্যাকসিন গ্রহণ করবো।’ ভারত থেকে উপহারের ভ্যাকসিন হাতে পেলে চলতি মাসেই টিকাদান শুরু হতে পারে বলেও যোগ করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক এ বি এম খুরশিদ আলম এ সময় জানান, ভ্যাকসিনগুলো কেন্দ্রীয় ওষুধ সংরণাগার, সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচী (ইপিআই) ও ঢাকার তেজগাঁও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কোল্ড স্টোরেজে সংরণ করা হবে।
অধ্যাপক খুরশিদ আরও জানান, ২৫ বা ২৬ জানুয়ারি কোভিশিল্ডের তিন কোটি ডোজ ভ্যাকসিনের প্রথম চালান আসার পর দেশের সব জেলায় টিকাদান শুরু হবে।
অন্যদিকে কোন প্রক্রিয়ায় ভ্যাকসিন পরিবহণ করা হবে সে বিষয়ে জানতে চেয়েছে ভারতীয় হাই কমিশন। চিঠিতে বলা হয়, সরকার করোনা মোকাবিলায় জনগণের স্বাস্থ্য সুরা নিশ্চিত করতে ইতোমধ্যে জাতীয় ভ্যাকসিন কর্মপরিকল্প গ্রহণ করেছে। ভারত সরকার বাংলাদেশকে সিরাম ইনস্টিটিউটের তৈরি ২ মিলিয়ন (২০ লাখ) ডোজ অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনা ভ্যাকসিন দেবে। এ ভ্যাকসিনের চালান ভারতের একটি বিশেষ ফাইটে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবে। বিমানবন্দর থেকে ভ্যাকসিন পরিবহনের যেসব যানবাহন (ট্রাক/ভ্যান) ব্যবহার করা হবে তার বিস্তারিত বিবরণ ভারতীয় হাইকমিশন থেকে জানতে চাওয়া হয়েছে। বিমানবন্দর থেকে ভ্যাকসিন পরিবহনে যেসব ট্রাক-ভ্যান ব্যবহার করা হবে তার বিস্তারিত প্রতিবেদন জরুরি ভিত্তিতে পাঠাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এদিকে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো ভারতীয় হাইকমিশনের চিঠিতে বলা হয়েছে, ভ্যাকসিন বহনে কোন ধরনের যানবাহন ব্যবহার হবে তার বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে হবে। একই সঙ্গে বিমানবন্দরের কাছাকাছি সংরণের ব্যবস্থা করতে হবে। সংরণের জায়গায় অবশ্যই দুই থেকে আট ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা নিশ্চিত করতে হবে।