রাজ্যে যথেষ্ট খাদ্য সামগ্রী মজুদ রয়েছে। তাই বর্তমান মিনি লোক ডাউনের মতো পরিস্থিতিতে রাজ্য বাসীর আতঙ্কিত হবার কোনো কারণ নেই। রাজ্য সরকার বাজার দর নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সক্ষম হয়েছে। শুধুমাত্র সরিষার তেল বাদে অন্যান্য সামগ্রীর কিছুর দাম বর্তমানে নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রয়েছে। সরিষার তেলের উৎসস্থলেই দাম বেড়েছে। কথাগুলি বললেন খাদ্যমন্ত্রী মনোজ কান্তি দেব। তিনি বলেন, রাজ্যে ১০২ দিনের চাল মজুদ রয়েছে, ৩৯ দিনের গম, ২৫ দিনের লবণ, ৪৫ দিনের চিনি মজুদ রয়েছে। পেট্রোল রয়েছে ১১ দিনের, ডিজেল সাত দিনের এবং কেরোসিন ১০ দিনের মজুদ রয়েছে। তাই খাদ্যদ্রব্য যথেষ্ট মজুদ রয়েছে বলে দাবি খাদ্যমন্ত্রীর। তিনি দাবি করেন প্রত্যন্ত এলাকাগুলিতে শিবির করে খাদ্যদ্রব্য বন্টন করা হচ্ছে। তাছাড়া বন্টন প্রক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে হচ্ছে বলেও দাবি করেন তিনি। তিনি বলেন, চিফ মিনিস্টার কোভিড স্পেশাল রিলিফ প্যাকেজ স্কিম চালু হয়েছে। এ রাজ্যে প্রায় সাত লক্ষ পরিবারকে নগদ ১ হাজার টাকা ছাড়াও ১০ কেজি করে চাল, ২ কেজি করে ডাল, ৩ কেজি আলু, ২ কেজি করে পেঁয়াজ দেওয়া হবে। তাছাড়া দুধ ও লবণও দেওয়া হবে। করোনা পরিস্থিতিতে সরকার রাজ্যবাসীর পাশে আছে বলে দাবি করেন খাদ্যমন্ত্রী। তিনি জনগণকে আতঙ্কিত না হয়ে করোনা বিধি মেনে চলারও পরামর্শ দেন।
আরশিকথা ত্রিপুরা সংবাদ
ছবিঃ সুমিত কুমার সিংহ
৩রা জুন ২০২১