আদালতের রায়কে সম্মান জানিয়ে বুধবার আগরতলায় কোনো রকম রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করলো না তৃণমূল কংগ্রেস। দল চাইলে আইন অমান্য আন্দোলন করতে পারত। হাজার হাজার লোককে রাস্তায় নামতে পারতো। এমনটাই বললেন দলের সাংসদ শান্তনু সেন। এদিকে তৃণমূলে যোগদান পর্ব অব্যাহত রয়েছে। বুধবার বাপ্টু চক্রবর্তীসহ কংগ্রেসের এক ঝাঁক কার্যকর্তা তৃণমূলে যোগ দেন। এদিন প্রায় ৫০০ ভোটার বিভিন্ন দল ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন বলে দাবি করা হয়। নবাগতদের বরণ করে নেন সাংসদ শান্তনু সেন ও সুস্মিতা দেব। সঙ্গে ছিলেন স্থানীয় নেতা সুবল ভৌমিক। ১৪৪ ধারা প্রসঙ্গে সুস্মিতা দেব বলেন, শুধু কি তৃণমূল কংগ্রেসের জন্যই ১৪৪ ধারা? শাসক দল তৃণমূলকে ভয় পাওয়াতেই এই কৌশল নিয়েছে। প্রসঙ্গত বুধবার দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক ব্যানার্জীর আগরতলা আসার কথা ছিল। কিন্তু মঙ্গলবার রাতে তার সফরসূচি বাতিল করা হয়। তৃণমূল চেয়েছিল এক বিরাট কর্মসূচির মধ্য দিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে সাড়া ফেলতে। বাপ্টু চক্রবর্তীসহ কংগ্রেসের অনেক কার্যকর্তা এবং বিজেপি'র বিক্ষুব্ধ একটি অংশ তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন বলে বিরাট সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু রাজনৈতিক কর্মসূচির অনুমোদন না থাকায় সাদামাটা সাংবাদিক সম্মেলনের মধ্য দিয়ে যোগ দেন। এছাড়া তেমন কোনো নেতাকে তৃণমূলে যোগ দিতে দেখা না গেলেও এদিন প্রায় ৫০০ ভোটার ঘাসফুলে যোগ দিয়েছেন। সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, ২২ সেপ্টেম্বর তৃণমূল কংগ্রেস পদযাত্রা করতে না পারলেও সময়ে তা নিশ্চিত করা হবে। মানুষের এর জন্য মুখিয়ে আছেন। এক মাসেরও বেশি সময় ধরে রোজ তৃণমূল কংগ্রেসের ভোটাররা যোগ দিচ্ছেন। নেতা নয় সবাই কর্মী হয়ে কাজ করতে চাইছেন। তিনি বলেন, তৃণমূলকে কেউ আটকে রাখতে পারবে না বলে জানিয়ে দেন তিনি।
আরশিকথা ত্রিপুরা সংবাদ
২২শে সেপ্টেম্বর ২০২১