রাজ্য বিধানসভায় যারা বর্তমানে সদস্য রয়েছেন বা যারা ভবিষ্যতে বিধানসভার সদস্য হবেন তাকে বিধায়ক পদে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা পাওয়ার জন্য ন্যূনতম একটি মেয়াদকাল সম্পূর্ণ করতে হবে। এ বিষয়ে মঙ্গলবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে একটি সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। মন্ত্রিসভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে পরবর্তী সময়ে সেই বিধায়ক যদি পুনরায় নির্বাচিত হয়ে বিধানসভার সদস্য হয়ে আসতে না পারেন তিনি তার বিধায়ক পদের সমস্ত সুযোগ সুবিধা, ভাতা বা পেনশন পাবেন।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী মন্ত্রিসভার এই সিদ্ধান্তের কথা জানান। তিনি জানান, বিগত সরকারের সময় নিয়ম ছিলো কেউ যদি ৪ বছর তার বিধায়ক পদে বহাল থাকেন এবং পরবর্তী সময় নির্বাচনে হেরে গিয়ে বিধানসভার সদস্যপদ ধরে রাখতে না পারেন তবুও তার সমস্ত রকম সুযোগ সুবিধা, ভাতা এবং পেনশন ভোগ করতে পারতেন। সাংবাদিক সম্মেলনে তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী জানান, বর্তমান সরকার গঠিত হওয়ার পর সেই নিয়মে সংশোধন আনা হয়েছিলো এবং নতুন নিয়মানুসারে জন্য বিধায়ক কিলেই বিধায়ক পদের সমস্ত সুযোগ সুবিধার সংস্থান ছিলো। আজ মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্তক্রমে সেই নিয়মের আরও কিছুটা সংশোধন করা হয়। নতুন নিয়মানুসারে বিধায়কদের বিধায়কপদে পরবর্তী নির্বাচন পর্যন্ত ন্যূনতম একটি মেয়াদকাল সম্পূর্ণ করতে হবে। তারপর সে যদি হেরে গিয়ে বিধানসভার সদস্য নাও হতে পারেন তবুও সে বিধায়ক পদের সমস্ত সুযোগ সুবিধা ভোগ করতে পারবেন।আরশিকথা ত্রিপুরা সংবাদ
ছবিঃ সুমিত কুমার সিংহ
২রা নভেম্বর ২০২১