বাংলা চলচিত্র জগৎ হারাল তাঁর অত্যন্ত প্রিয় অভিনেতা অভিষেক চট্টোপাধ্যায়কে। সহকর্মীরা হারালেন তাঁদের প্রিয় মিঠুদাকে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই অভিনেতার স্মৃতিতে নস্ট্যালজিক টলিউডের তারকারা। অভিনেতার শেষযাত্রায় উপস্থিত হয়ে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন বহু অভিনেতা-অভিনেত্রী। উপস্থিত ছিলেন সুজন মুখোপাধ্যায়, সাগ্নিক, সোহম চক্রবর্তী, রাজ চক্রবর্তী, তৃণা সাহার মতো টলিউডের অনেক তারকারাই। বৃহস্পতিবার বিকেলেই কেওড়াতলা মহাশ্মশানে শেষকৃত্য সম্পন্ন হয় অভিনেতা অভিষেক চট্টোপাধ্যায়ের। উল্লেখ্য, বুধবার রাতে একটি রিয়্যালিটি শোয়ের শুটিংয়ে ব্যস্ত ছিলেন অভিনেতা। সেখানেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। বেশ কয়েকবার বমি করেন তিনি। সেই সময় তাঁকে হাসপাতালে ভরতির চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তাতে রাজি হননি তিনি। অভিষেক জানিয়েছিলেন, বাড়িতে থেকেই চিকিৎসা করাতে চান। সেই মতো রাতে বাড়িতেই শুরু হয় চিকিৎসা। স্যালাইনও দেওয়া হয়। কিন্তু তাতেও শেষ রক্ষা হল না।
রাত ১টা নাগাদ মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন অভিনেতা অভিষেক চট্টোপাধ্যায়। অভিনেতার প্রয়াণে শোকের ছায়া পরিবার ও টলিপাড়ায়। অভিষেকের কেরিয়ার শুরু ১৯৮৬ সালে। ছবির নাম ‘পথভোলা’। তারপর ১৯৮৮ থেকে ১৯৯০ সালের মধ্যে একের পর এক সুপারহিট ছবিতে অভিনয় করেন অভিষেক। যার মধ্যে রয়েছে, ‘অমর প্রেম’, ‘ওরা চারজন’, ‘হারাণের নাতজামাই’, ‘পাপী’, ‘তুফান’-এর মতো সিনেমা। নব্বই দশকের শুরু থেকেই সিনেমায় চুটিয়ে অভিনয় করেছেন অভিষেক। ১৯৯০ থেকে ২০০০ সালের মধ্যে প্রায় পঞ্চাশের বেশি ছবিতে অভিনয় করেছেন অভিষেক। যার মধ্যে ‘মায়ের আশীর্বাদ’, ‘মেজো বউ’, ‘সিঁথির সিঁদুর’, ‘বাবা কেন চাকর’, ‘লাঠি’, ‘আলো’, ‘চৌধুরী পরিবারে’র মতো ছবি জনপ্রিয় হয়েছিল। তবে শুধু কমার্সিয়াল ছবিতেই নয়, ঋতুপর্ণ ঘোষের পরিচালনায় ‘দহন’ ছবিতেও আলাদা করে নজর কেড়েছিলেন অভিষেক।আরশিকথা দেশ-বিদেশ
২৪শে মার্চ ২০২২