বরাবরের মতই উপনির্বাচনেও সবার আগে প্রার্থী ঘোষণা করলো বামফ্রন্ট। এলাকায় সুপরিচিতি রয়েছে এমন ব্যক্তিদের প্রার্থী করা হয়েছে। ৬ নং আগরতলা কেন্দ্রে প্রার্থী হয়েছেন কৃষ্ণা মজুমদার। তিনি আগরতলা পুর নিগমের মেয়র ইন কাউন্সিল ছিলেন। ৮ নং বড়দোয়ালী কেন্দ্রের প্রার্থী হয়েছেন রঘুনাথ সরকার। উপনির্বাচনেও এই আসনে বামফ্রন্টের ছোট সরিক ফরওয়ার্ড ব্লক প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। শ্রী সরকার শিক্ষক এবং প্রকাশনার সঙ্গে জড়িত। সুরমা কেন্দ্রে প্রার্থী করা হয়েছে প্রাক্তন বিধায়ক অঞ্জন দাসকে। তিনি আগেও এই কেন্দ্র থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন। তবে গত বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী হতে পারেননি। যুবরাজ নগর বিধানসভা কেন্দ্রে প্রার্থী করা হয়েছে সিপিএমের একনিষ্ঠ কর্মী শৈলেন্দ্র চন্দ্র নাথকে। সোমবার রাজ্য বামফ্রন্ট কমিটির আহ্বায়ক প্রাক্তন সাংসদ নারায়ণ কর এক সাংবাদিক সম্মেলনে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেন। সঙ্গে ছিলেন চার বামপন্থী দলের প্রতিনিধিরা।
শ্রীকর বলেন, যুবরাজনগর কেন্দ্র ছাড়া বাকি তিনটি আসনে বিজেপির কারণে নির্বাচকমণ্ডলীকে আবার ভোট নিতে হচ্ছে। তাতে অর্থ ও সময়ের অপচয়। তিনি এদিন নানা প্রসঙ্গ উল্লেখ করে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকেও একহাত নেন। বিগত চার বছরে বিজেপির সন্ত্রাস, আইন-শৃঙ্খলার অবনতি, দুর্নীতি, মূল্যবৃদ্ধি, শ্রমিক-কর্মচারী বঞ্চনা ইত্যাদি নানা অভিযোগ তুলেন তিনি। অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন হলে বামফ্রন্ট প্রার্থীরা জয়ী হবেন বলেও আশা ব্যক্ত করেন তিনি।তিনি নির্বাচন কমিশনের কাছে দাবি জানান, প্রতিটি বুথ বা ভোট কেন্দ্রকে যেন স্পর্শকাতর হিসেবে ঘোষণা করা হয়। ওয়েব কাস্টিং এর ব্যবস্থা করা, ভোটার ও প্রার্থীদের পূর্ণ নিরাপত্তা ব্যবস্থা করার দাবি তোলেন শ্রীকর। তিনি অভিযোগ করেন, গত চার বছরে যতগুলি নির্বাচন হয়েছে কোনোটাতেই জনগণের রায় প্রতিফলিত হয়নি। তাই উপ-নির্বাচনে যেন এই বিষয়ে বিশেষ ভাবে নজর দেওয়া হয়। ভোটারদের ঠিকভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ করে দেওয়ার দাবিতে নির্বাচন কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে বামফ্রন্ট।আরশিকথা ত্রিপুরা সংবাদ
ছবিঃ সুমিত কুমার সিংহ
৩০শে মে ২০২২