ত্রিপুরা হাউজিং এন্ড কনস্ট্রাকশন বোর্ডের ১০৫তম সভা বুধবার সচিবালয়ের ১নং সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন বোর্ডের চেয়ারম্যান তথা মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা। মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ সাহা ত্রিপুরা হাউজিং এন্ড কনস্ট্রাকশন বোর্ডের বিভিন্ন কাজের পর্যালোচনা করে বলেন, যে কোনো কাজ শুরুর পূর্বে সঠিক পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। তবেই কাজটি রূপায়ণে কোনও সমস্যা যেমন হবেনা তেমনি কাজটিও দ্রুত সম্পন্ন করা সম্ভব হবে। তাছাড়াও ত্রিপুরা হাউজিং এন্ড কনস্ট্রাকশন বোর্ড যে সমস্ত কাজ হাতে নিয়েছে তা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই শেষ করার উপর মুখ্যমন্ত্রী গুরুত্ব আরোপ করেন। সভায় ত্রিপুরা হাউজিং এন্ড কনস্ট্রাকশন বোর্ডের মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিক সঞ্চয়িতা দাস জানান, ২০২১-২২ অর্থবর্ষে বোর্ড বিভিন্ন দপ্তরের ১৯টি কাজ সম্পন্ন করেছে। এরমধ্যে সমগ্র শিক্ষার ৩টি কাজ, শিক্ষা দপ্তরের ৬টি কাজ, মৎস্য দপ্তরের ২টি, যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া দপ্তরের ২টি, প্রাণী সম্পদ বিকাশ দপ্তরের ৩টি, জনজাতি কল্যাণ দপ্তরের ১টি, পূর্ত দপ্তরের ১টি এবং গ্রামোন্নয়ন দপ্তরের ১টি কাজ। এছাড়াও ত্রিপুরা হাউজিং এন্ড কনস্ট্রাকশন বোর্ড 20২২-২৩ অর্থবর্ষে বিভিন্ন দপ্তরের মোট ১১৬টি কাজ হাতে নিয়েছে। এরমধ্যে রয়েছে শিক্ষা দপ্তরের ২৯টি কাজ, জনজাতি কল্যাণ দপ্তরের ২২টি কাজ, প্রাণী সম্পদ বিকাশ দপ্তরের ৫৫টি, মৎস্য দপ্তরের ২টি, যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া দপ্তরের ৩টি, দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের ১টি এবং ত্রিপুরা হাউজিং এন্ড কনস্ট্রাকশন বোর্ডের নিজস্ব ৪টি কাজ। এই কাজগুলি রূপায়ণে মোট ব্যয় হবে ২৫৭ কোটি ৩৩ লক্ষ টাকা। বোর্ডের সভায় এছাড়াও নিউ ক্যাপিটাল কমপ্লেক্সে ব্যক্তিগত মালিকাধীন ফ্ল্যাট নির্মাণের বর্তমান অবস্থা, বোর্ডের ২০২২-২৩ অর্থবর্ষের বাজেট, বিভিন্ন কাজের টেন্ডারের অনুমোদন ইত্যাদি নিয়ে ত্রিপুরা হাউজিং এন্ড কনস্ট্রাকশন বোর্ডের মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিক সঞ্চয়িতা দাস আলোচনা করেন।
সভায় মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও ভারপ্রাপ্ত মুখ্যসচিব জে কে সিনহা, পূর্ত দপ্তরের সচিব কিরণ গিত্যে এবং বোর্ডের অন্যান্য সদস্য-সদস্যাগণ উপস্থিত ছিলেন।আরশিকথা ত্রিপুরা সংবাদ
ছবিঃ সংগৃহীত
১৩ই জুলাই ২০২২