রাজ্যের অর্থনীতির মেরুদন্ড হলেন ব্যবসায়ী ও করদাতারা। তাদের ব্যবসা ভাল হলে মুনাফা যেমন বাড়ে তেমনি নতুন নতুন বেকার ছেলে-মেয়েদের কর্মসংস্থানেরও সৃষ্টি হয়। করদাতাদের প্রদেয় কর রাজ্যের অর্থনৈতিক বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। করদাতারা হলেন রাজ্যের সার্বিক উন্নয়নের সহযোগী। উপমুখ্যমন্ত্রী তথা অর্থ দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী যীষ্ণু দেববর্মা বুধবার প্রজ্ঞাভবনের ৩নং প্রেক্ষাগৃহে প্রতি ঘরে সুশাসন অভিযানের অঙ্গ হিসাবে রাজ্যের সেরা করদাতাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করে একথা বলেন।
অনুষ্ঠানে ৩০ জন করদাতাকে সংবর্ধনা জানানো হয়। অর্থ দপ্তরের ট্যাক্সেস অর্গানাইজেশন এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। করদাতাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করে উপমুখ্যমন্ত্রী যীষ্ণু দেববর্মা উপস্থিত করদাতা সহ সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, করদাতাগণ পরোক্ষে সরকারকে সহায়তা করে থাকেন। আমরা চাই বন্ধুত্বপূর্ণভাবে কর আদায় করতে। এরূপ নির্দেশ দপ্তরের আধিকারিকদেরও দেওয়া হয়েছে। কর দপ্তর ও করদাতাদের সমন্বয়ে বর্তমানে কর আদায়ের পরিমাণ প্রায় ২৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।উপমুখ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের অর্থনীতির বিকাশে এমএসএমই বা মাইক্রো স্মল এন্ড মাইক্রো এন্টারপ্রাইজেসগুলি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি চান সকলকে নিয়ে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় পথ চলতে। প্রধানমন্ত্রীর দেখানো পথেই ত্রিপুরা সরকার প্রতি ঘরে সুশাসন অভিযান কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। অনুষ্ঠানে উপমুখ্যমন্ত্রী সেরা করদাতা বিপ্লব রায়কে উত্তরীয় পরিয়ে, পুষ্পস্তবক ও প্রতি ঘরে সুশাসনের মোমেন্টো দিয়ে সংবর্ধনা জ্ঞাপন করেন। তাছাড়াও অনুষ্ঠানে উপমুখ্যমন্ত্রী সহ অন্যান্য অতিথিরা আরও ২৯ জন করদাতাকে সংবর্ধনা জ্ঞাপন করেন।আরশিকথা ত্রিপুরা সংবাদ
ছবিঃ সংগৃহীত
১৬ই নভেম্বর ২০২২