কাতারের কাছে আরও এক মিলিয়ন টন তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দোহাও আশ্বাস দিয়েছে, জ্বালানি সংকট মেটাতে তারা ঢাকার পাশেই থাকবে।
স্থানীয় সময় রোববার (৫ মার্চ) কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকের পর এ কথা জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
প্রধানমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে মোমেন জানান, প্রধানমন্ত্রী বৈঠকে বলেছেন, ‘আমরা কাতারের সাহায্য চাই। ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বাংলাদেশ জ্বালানি সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। আমি চুক্তি নবায়ন করতে চাই। আমি আরও এলএনজি চাই। জবাবে কাতারের আমির জানতে চান বাংলাদেশ কতটা জ্বালানি চায়।’ তাকে বলা হয়, বাংলাদেশ আরেকটি এমটিএ অর্থাৎ ১৬-১৭ কনটেইনার জ্বালানি চায়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ করে আমির বলেন, ‘আপনার কাতার ছাড়ার আগে জ্বালানি মন্ত্রী এ বিষয়ে আপনার সঙ্গে আলোচনা করবেন।’
বর্তমানে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির আওতায় বাংলাদেশ কাতার থেকে বছরে প্রায় ৪০ কনটেইনার, অর্থাৎ আড়াই মিলিয়ন মেট্রিক টন এলএনজি আমদানি করছে। যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে জ্বালানির বাজারে এমনিতেই দাম ঊর্ধ্বমুখী; তার মধ্যে জ্বালানি পণ্যের প্রাপ্যতার প্রশ্নেও জটিল পরিস্থিতি বিশ্বজুড়ে।
এমন অবস্থায় জ্বালানি সংকট মেটাতে কাতারের সঙ্গে লেনদেনের মাত্রা আরও বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে। এলডিসি সম্মেলনে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রীর দোহা সফরে জ্বালানি পণ্য, বিশেষত আরও বেশি পরিমাণ এলএনজি পাওয়ার পথ সুগম হলো।
আরশিকথা দেশ-বিদেশ
তথ্য ও ছবিঃ সৌজন্যে ইন্টারনেট
৭ই মার্চ, ২০২৩