Type Here to Get Search Results !

সাভারে বেসরকারি সংস্থা সাস এর উদ্যোগে দরিদ্র মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে শিক্ষাবৃত্তি ও প্রবীনদের ভাতা প্রদানের চেক বিতরণ অনুষ্ঠানঃ আরশিকথা বাংলাদেশ

পূর্ণি ঘোষাল, সাভার, আরশিকথাঃ

ঢাকা জেলার সাভারে শনিবার (২৩ সেপ্টম্বর) সাস প্রধান কার্যালয় মিলনায়তনে সকাল ১১.০০টায় পিকেএসএফ-এর ‘কর্মসূচি সহায়ক তহবিল’ অনুকূল ফাউন্ডেশন এবং সাস এর নিজস্ব তহবিল এর উদ্যোগে দরিদ্র মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে শিক্ষাবৃত্তি এবং প্রবীনদের ভাতা প্রদানের চেক বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। যেখানে ১৪২ জন শিক্ষার্থী ও প্রবীনদের মাঝে ৯৬ হাজার টাকার শিক্ষা বৃত্তি ও প্রবীন ভাতা প্রদান করা হয়েছে।

উক্ত অনুষ্ঠানে সাস এর কার্যনির্বাহী কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট মো: নজরুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সমাজসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক  গ্রেড-১) ড. আবু সালেহ্ মোস্তফা কামাল। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাভার সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভ‚মি) এস.এম রাসেল ইসলাম নুর, ঢাকা জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক মো: রকনুল হক, সাভার উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জনাব ইয়াসমিন আক্তার সুমী, সাস এর নির্বাহী পরিচালক হামিদা বেগম এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এর সাবেক উপপরিচালক কৃষিবিদ সালেহ আহমেদ। এছাড়া অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাভার সরকারি কলেজ এর সাবেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক দীপক কুমার রায়, সাভার উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি শওকত আলী মাহমুদ, সাভার নদী ও পরিবেশ উন্নয়ন পরিষদ এর সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শামছুল হক, সাভার নাগরিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো: সালাহ্উদ্দিন খান নঈম, সনাক এর সভাতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেক ও সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আ খ ম সিরাজুল ইসলাম, সাভার সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট এর সভাপতি আব্দুল কাদের তালুকদার, ভার্কের নির্বাহী পরিচালক মো: ইয়াকুব হোসেনসহ সুশীল সমাজের প্রতিনিধিবৃন্দ এবং এনজিও প্রতিনিধিবৃন্দ।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি শুরুকেই উদ্যোক্তাদের মাশরুম চায় প্রশিক্ষণ উদ্বোধন করেন এবং মাশরুমের গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করেন। এরপর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মূল অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী ঘোষণা করা হয়। মূল অনুষ্ঠানের শুরুতেই শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সাস এর পরিচালক বীর মুক্তিযোদ্ধা ড: মো: রফিকুল ইসলাম ঠান্ডু মোল্লা। সংস্থার কার্যক্রম উপস্থাপন করেন সাস এর যুগ্ম পরিচালক মো: সাইদুল ইসলাম মিরেজ এবং অনুষ্ঠানের সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করেন পারভীন আক্তার শান্তা ও পূণি ঘোষাল। 

সাস শিক্ষার অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ২০০৪ সাল থেকে নিজস্ব উদ্যোগে পিছিয়ে পড়া ও দরিদ্র ছাত্রছাত্রীদের মাঝে শিক্ষা বৃত্তি প্রদান করে আসছে। বৃত্তিপ্রাপ্ত ছাত্রছাত্রীরা অনেকে বর্তমানে স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যারনরত আছে এবং কেউ কেউ লেখাপড়া শেষ করে কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত বছর থেকে সাস এইচএসসি পাশকৃত দরিদ্র ও মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের ’বঙ্গবন্ধু শিক্ষা বৃত্তি’ প্রদান করে আসছে। এদের মধ্যে অনেকে সরকারি মেডিকেল কলেজ ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত আছে।  

উক্ত শিক্ষাবৃত্তির চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীদের মধ্য থেকে যেসকল সুপারিশ আসে, তাহা নিম্নে তুলে ধরা হলো-উচ্চ শিক্ষার হার বৃদ্ধি করার জন্য সাস এর পাশাপাশি সাভারের সকল এনজিওদের মাধ্যমে দরিদ্র ও মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের বঙ্গবন্ধু শিক্ষাবৃদ্ধি চালু করা; সমাজের প্রভাবশালীদের দরিদ্র ছাত্রছাত্রীদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য পরামর্শ প্রদান করা হয়। সরকারি গেজেট পাশ হলে সকল তৃতীয় লিঙ্গ সম্প্রদায়ের লোক সকলেই সরকারি ভাতা পাবে।

সাস এর গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম হচ্ছে গ্রামীণ ও নগরের জনগণের জীবনযাত্রারমান উন্নয়নে সাহায্য করা; গ্রামীণ ও নগরের জনগণের আর্থ-সামজিক উন্নয়নে উপযুক্ত ঋণ গ্রহীতা নির্বাচন এবং ক্ষুদ্র ঋণ কার্যক্রম পরিচালনা করা; যে কোনো দুর্যোগে সহায়তার হাত নিয়ে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানো; নারীর ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে প্রশিক্ষণ প্রদান ও সচেতনতা বৃদ্ধি; পরিবার পরিকল্পনা, প্রাথমিক স্বাস্থ পরিচর্যা, পুষ্টি সচেতনতা, গর্ভবতী মায়ের যত্ন সম্পর্কে সতর্কীকরণ, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ ইত্যাদি। এছাড়া শিক্ষা কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে-সাস-দুঃস্থ শিশু প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্র; সুচলা দুঃস্থ শিশু শিক্ষা ও পুনর্বাসন কার্যক্রম, শিক্ষাবৃত্তি কর্মসূচি এবং স্বা¯’ বিষয়ক সচেতনতামূলক স্টিকার বিতরণ কর্মসূচি।

১৯৮৮ সালের বন্যায় ত্রাণ বিতরণ এবং  বন্যা পরবর্তীকালে পুনর্বাসনমূলক কাজের অভিজ্ঞতাকে সম্বল করে সংস্থার বর্তমান নির্বাহী পরিচালক জনাব হামিদা বেগমের প্রচেষ্টায় ১৯৮৯ সালে সোস্যাল আপলিফটমেন্ট সোসাইটি (সাস) এর আত্মপ্রকাশ। শুরু থেকে সংস্থার সাভার এলাকার সুবিধাবঞ্চিত, অনগ্রসর, অপুষ্টি ও দারিদ্র্য পীড়িত মহিলাদের স্বাবলম্বী করার প্রয়াসে ঋণ বিতরণসহ আয়বর্ধনমূলক কাজ করে এবং পরবর্তিতে সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও বৃত্তিমূলক নানা কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত হয়ে পড়ে। বর্তমানে সংস্থা বাংলাদেশের ০৬টি জেলার ২৩টি উপজেলায় ঋণ সহায়তা কার্যক্রমসহ নানাবিধ সামাজিক ও উন্নয়নমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করছে।


আরশিকথা বাংলাদেশ সংবাদ

২৩শে সেপ্টেম্বর ২০২৩

 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.