যেসব বিভাগ এ অপারেশনে অংশগ্রহণ করেছে। তা হলো: নিউরোসার্জারি, প্লাস্টিক সার্জারি, শিশু সার্জারি, ভাসকুলার সার্জারি, ইউরোলজি, এনেসথেসিওলজি, ট্রান্সফিউশন মেডিসিন ও রেডিওলজি টিম। জটিল ও স্পর্শকাতর এ অপারেশনে অংশ নেয়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউরোসার্জারি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. রকিবুল ইসলাম রকিব বলেন, ‘চিকিৎসাবিজ্ঞানে বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম এ ধরনের সফল অপারেশনে অংশ নিতে পেরে আমি গর্বিত। মেরুদণ্ড জোড়া লাগা দুটি শিশুকে আলাদা করতে ৩৯ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তালিকা করা হয়। এ তালিকায় আমাকে রাখায় সত্যি আমি ধন্য। টানা ১৫ ঘণ্টার এ অপারেশনের পর শিশু দুটির বাবা-মায়ের মুখে হাসি দেখে প্রাণটা জুড়িয়ে গেছে।’ উল্লেখ, কুড়িগ্রাম জেলার কাঁঠালবাড়ীর পরিবহন শ্রমিক আলমগীর রানা ও তার স্ত্রী নাসরিনের গর্ভে মেরুদণ্ডে জোড়া লাগানো মেয়ে নুহা ও নাভা ২০২২ সালের ২১ মার্চ জন্ম নেয়। জন্মের অল্প কয়েক দিন পর এপ্রিল মাসে বিএসএমএমইউর সার্জারি অনুষদের ডিন ও নিউরো স্পাইন সার্জন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হোসেনের অধীনে নুহা ও নাভাকে ভর্তি করা হয়।
আরশিকথা বাংলাদেশ সংবাদ
২২ শে ফেব্রুয়ারি ২০২৪