সেই ১৯৩০ সালে শুরু।তারই ধারাবহিকতায় আজ ২১তম আসর।প্রস্তুত
রাশিয়া, প্রস্তুত মাঠ, প্রস্তুত ময়দানের যোদ্ধারা, প্রস্তুত সারা বিশ্বের কোটি কোটি
চোখ।চারিদিকে দামামা বাজছে। আজ রাতেই শুরু হচ্ছে ইতিহাসের সবচেয়ে স্মরণীয় বিশ্বকাপ।৩২টি
দেশ, ১২টি মাঠ আর শত শত দেশের টেলিভিশনের রঙিন পর্দা যেন এই দিনের অপেক্ষাতেই ছিল।
এবার আসা যাক স্মরণকালের এই স্মরণীয় বিশ্বকাপ প্রসঙ্গে।
এ যাবতকালে ২০ বার অনুষ্ঠিত হয়েছে এই বিশ্বকাপের আসর। তবুও রাশিয়া বিশ্বকাপ কেন ইতিহাসের স্মরণীয় বিশ্বকাপ হতে যাচ্ছে ? তার উত্তর খুঁজতে গিয়ে ফুটবলবোদ্ধারা যা বলছেন তা আসলেই
সত্যিকার এক গাণিতিক বিশ্লেষণ।
ফুটবলের ইতিহাসে যুগে যুগে কিছু মহাতারকার আবির্ভাব ঘটেছে।তার
মধ্যে একজনের নাম পেলে, আরেক জনের নাম দিয়েগো ম্যারাডোনা। একজন ফুটবলের রাজা আর আরেকজনকে
বলা হয় ফুটবলের ঈশ্বর।ইতিহাসের খেলার মাঠে যখন রাজা এবং ঈশ্বরের আগমন ঘটে যায়, তখন
দর্শকদের আর কী দেখবার বাকী থাকে ? বস্তুত কিছুই থাকে না। রাজা এবং ঈশ্বরের প্রস্থান
হয়ে গেলে সব আকর্ষনই তো ফুরিয়ে যাবার কথা। কিন্তু ইতিহাস বলছে রাজা কিংবা ঈশ্বর শেষ
কথা নয়, এরপরও আরো বড় কিছু আছে।সত্যিই তো আছে।ঈশ্বরের দেশেই আরেক খেলোয়ারের জন্ম যার
নাম লিওনেল মেসি।যাকে বলা হয় ভিনগ্রহের ফুটবলার। সেই মেসির কারণেই এবারের বিশ্বকাপ
হতে যাচ্ছে ইতিহাসের স্মরণীয় বিশ্বকাপ। কেননা সম্ভবত এটাই হতে যাচ্ছে মেসির শেষ বিশ্বকাপ।একারণেই
এবার সারা পৃথিবী অপেক্ষায় আছে এবারের এই ফুটবল যুদ্ধ দেখার জন্য।
আর ভিনগ্রহের যোদ্ধার
সাথে এপৃথিবীর খেলোযাড়েরাও কম কিসে ? কখনো কখনো তারাও ছাপিয়ে যায় একে অপরের নৈপুন্যে।আজ
রাত ৮-৩০ মিনিটে স্বাগতিক রাশিয়া এবং সৌদি
আরবের মধ্যকার লড়াইয়ের মাধ্যমেই শুরু হচ্ছে বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচ।আর কথা নয়, আপনারা
চোখ মুছে তৈরি হতে থাকুন..ঐ তো রাশিয়ার আকাশে দামামার শব্দ শোনা যাচ্ছে।
ছবিঃ প্রতিবেদকের সৌজন্যে
১৪ই জুন ২০১৮ইং