Type Here to Get Search Results !

রক্তক্ষয়ী ম্যাচে আর্জেন্টিনার জয়

রক্ত কোথায় ঝরেনি।রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গের সবুজ মাঠে লাল রক্ত তো ঝরেছেই, সেই সাথে কোটি কোটি দর্শকের হৃদয়ের রক্তক্ষরণ চললো টানা ৯৪ মিনিট ধরে।আর এ এমন এক ম্যাচ, রক্ত না ঝরে যে কোনো উপায়ও ছিলনা।এতো এতো সমীকরণ, এতো এতো ভক্তদের চাপ নিয়ে কি আর ফুটবল খেলা যায় ? আর সেটা তো মুহূর্তে উড়ে আসা কোনো চাপ নয়। চাপ তো সেদিনই তৈরি হয়েছে, যেদিন আর্জেন্টিনা ৩-০ গোলে হেরে গেল ক্রোয়েশিয়ার কাছে।তাই গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচ ছিল বাঁচা মরার লড়াই।হারলে সোজা বিদায় নিতে হবে আর্জেন্টিনাকে। আবার শুধু জয় লাভ করলেই হবে না।তাকিয়ে তাকিয়ে থাকতে হবে আইসল্যান্ড এবং ক্রোয়েশিয়ার ম্যাচের দিকে। সেই ম্যাচ যদি আইসল্যান্ড হারে তবেই আর্জেন্টিনার বিজয় স্বার্থক হবে।এটাই ছিল চাপের ইতিবৃত্ত, এটাই ছিল আর্জেন্টিনা-নাইজেরিয়া ম্যাচের রক্তক্ষরণের ম্যাচের ইতিহাস। 
সেই ইতিহাসের সাক্ষী হতে গত রাতে কোটি কোটি দর্শক চোখ রেখেছিল টেলিভিশনের পর্দায়।এছাড়া আর্জেন্টাইন ভক্তদের কেউ কেউ টেলিভিশন ছেড়ে বসে গিয়েছিলেন প্রার্থনায়।
ম্যাচের শুরুতেই মেসি জাদুর ঝলক। ম্যাচের ১৪ মিনিটেই মেসির ডান পায়ের গোলে এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা।শুরু হয় দর্শকদের উল্লাস। কিন্তু সেই উল্লাস দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই থমকে যায়। ৫১ মিনিটের মাথায় পেনাল্টি পায় নাইজেরিয়া। 
গোল১-১ এ সমতা। এই শুরু হয় হৃদয়ের রক্তক্ষরণ।কোটি কোটি দর্শকের হার্টবিট বেড়ে যায়। মাঠের মধ্যে ম্যাচেরানোর চোয়াল বেয়ে গড়িয়ে পড়ে রক্তের ধারা।কিন্তু সেদিকের তাকাবার মত সময় কোথায়। এই ম্যাচ যে জিততেই হবে।কোটি কোটি দর্শককে স্বপ্ন দেখিয়েছে আর্জেন্টিনা, সেই স্বপ্নের প্রতিদান তো দিতেই হবে। অবশেষে খেলার ৮৬ মিনিটে মার্কোস রোহের গোলে সেই স্বপ্ন পূরণ করে আর্জেন্টিনা।
ডি গ্রুপে রানার্স-আপ হয়ে পৌঁছে গেল নক আউট পর্বে।এবার তাদের প্রতিপক্ষ শক্তিশালি ফ্রান্স।যে দলে একজন মেসি আছে, তারা কি আর প্রতিপক্ষের শক্তিকে ভয় পায় ?

ক্রীড়া প্রতিবেদক: জহির রায়হান, ঢাকা
২৭শে জুন ২০১৮ইং
 


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.