২০১৬ সালে পশ্চিমবাংলায় ক্ষমতায় এসে রাজ্যের নাম পরিবর্তন নিয়ে তোড়জোড় শুরু করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। রাজ্যের নাম পরিবর্তন করে বাংলায় বঙ্গ এবং ইংরেজিতে বেঙ্গল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিল পাশের জন্য প্রস্তাবটি তোলা হয় বিধানসভায়।
নাম পরিবর্তনের পিছনে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের যুক্তি ছিলো ইংরেজিতে রাজ্যের নাম লেখা হয় ওয়েস্ট বেঙ্গল,সেই হিসেবে কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানে বক্তব্য পেশের সময় রাজ্যের প্রতিনিধিদের অনেক পরে বলার সুযোগ দেওয়া হয়। যেহেতু ইংরেজি বর্ণমালা অনুযায়ী সেটা ঠিক হয়। আর এই নাম পরিবর্তন নিয়ে অনেক বিরোধিতার মধ্যেও পড়তে হয় রাজ্য সরকারকে। বিরোধীদের দাবি ছিলো, নামের সঙ্গে অনেক ইতিহাস জড়িয়ে আছে, তাই নাম পরিবর্তনের ফলে তা নষ্ট হয়ে যাবে। কিন্তু রাজ্য সরকারের যুক্তি - রাজ্যের স্বার্থেই এই নয়া নাম। বিধানসভায় পাশও হয় বিলটি।
পাঠানো হয় কেন্দ্রে। কিন্তু সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দেয় কেন্দ্র। তাদের যুক্তি ছিলো একই রাজ্যের দুটি নাম হতে পারেনা। অবশেষে চলতি বছরের ২৬ জুলাই বৃহস্পতিবার রাজ্যটির বিধানসভায় রাজ্যের নাম "বাংলা" করা নিয়ে প্রস্তাব পেশ করেন পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
সমর্থনের হাত বাড়িয়ে দেয় বাম এবং কংগ্রেসের সদস্যরাও। মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি জানান, এই প্রস্তাব পাঠানো হবে কেন্দ্রে। "বাংলা" বিশ্ববাংলায় পরিবর্তন হোক সেই কামনা করেন তিনি।
ছবিঃ ইন্টারনেট হইতে সংগৃহীত
২৬শে জুলাই ২১৮ইং