Type Here to Get Search Results !

সততা ও উন্নয়নে বিশ্বে অনন্য শেখ হাসিনা".....মাহাবুবা রহমান লাকি, বাংলাদেশ

রবীন্দ্রনাথের হৈমন্তী গল্পে শিশির রৌদ্র কনায় মিলিয়ে যায়। কিন্তু এ গল্পের বন্দনায় শিশির মানব হৃদয়ে স্থান পায়। আমাদের দেশনেত্রী শেখ হাসিনা শিশির কুয়াশার সাথে মিলিয়ে যাওয়া কোনো নাম নয়।তিনি বাংলাদেশের সমগ্র ইতিহাসের একটি নাম, একটি প্রতিষ্ঠান। তিনি ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইল জুড়ে তেরশত নদী বিধৌত সবুজ শ্যামল বাংলার এক আপামর আপন জন, জননী সুযোগ্য পিতার বলিষ্ঠ কন্ঠস্বর। একদিন বাবা-মা ও স্বজনদের হারিয়ে একা অসহায় অন্ধকারে পতিত হয়েছিল। জীবন সংকটাপন্ন ছিল। ছিল প্রতি পদে পদে বাঁধার বেড়ি। সেই বেরিকেড ভেঙে আজ একটি অস্থিত্বের নাম, একটি দেশের উন্নয়নের নাম, একটি স্বনির্ভর জাতির ভরসার নাম শেখ হাসিনা। তিনি আল্লাহ ছাড়া আর কাউকে ভয় পান না। তাই তো তিনি আজ জয়ের মুকুট মাথায় পরতে পেরেছে। প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার দেশি-বিদেশি নানাবিধ চ্যালেঞ্জ ও প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবেলা করে একের পর এক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড ও প্রকল্প বাস্তবায়ন করে চলেছে। তথ্যপ্রযুক্তি ও যোগাযোগ ব্যবস্থার ব্যাপক উন্নয়নে দেশের অর্থনৈতির সূচক ঊর্ধ্বমুখী। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে জলবায়ুর বিরুপ প্রভাব মোকাবেলা সহ নানা সফলতা অর্জন করে চলেছে বাংলাদেশ। বিশ্বের ১০০ চিন্তাবিদের তালিকায় স্থান করে নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর উল্লেখযোগ্য কাজের মধ্যে রয়েছে, বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশ উন্নীতকরণ, ভারতের সাথে ৬৮ বছরের সীমানা বিরোধের অবসান, মাথাপিছু আয় ১ হাজার ৩১৪ ডলারে উন্নীতকরণ, তথ্যপ্রযুক্তির ব্যাপক উন্নয়ন, বিদেশি চাপ উপেক্ষা করে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, বিদ্যুতের লোডশেডিং শূন্যে নামিয়ে আনা, দারিদ্র্যের হার ২২.৪ শতাংশ হ্রাস, ২৫ বিলিয়ন ডলারের ওপর বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ, বিশ্বব্যাংকের অর্থ ছাড়া পদ্মাসেতু প্রকল্প বাস্তবায়ন শুরু করা, রাজধানীকে যানজটমুক্ত করতে হানিফ ফ্লাইওভার, হাতিরঝিল প্রকল্প, বনানী ও কুড়িল ফ্লাইওভার নির্মাণ ও ক্রীড়াঙ্গনের উন্নয়নে ব্যাপকভাবে পদক্ষেপ নিয়ে প্রত্যেকটি কাজে সফলতা দেখিয়েছেন। এছাড়াও সাংবাদিকদের সহায়তা অনুদান প্রদান।আর্থসামাজিক উন্নয়নে অসামান্য অবদান রাখায় বিশ্বের বেশকিছু বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রতিষ্ঠান শেখ হাসিনাকে বিভিন্ন ডিগ্রী ও পদক প্রদান করেন। কেবল মাত্র তার সরকারের আমলে নারীর ক্ষমতায়নে ব্যাপক উন্নতি হয়েছে।এসব উদ্যোগের মধ্যে রয়েছে নারীপুরুষ সমতাভিত্তিক কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা, মেয়েদের জন্য ডিগ্রী পর্যন্ত অবৈতনিক করা ও নারীদের স্বপ্নসুদে ঋণ প্রদান। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় দেশরক্ষার নীতি গ্রহণ করায় ১০০ জনের মধ্যে তিনি ১৩তম। প্যারাডাইস পেপারস আর পানামা পেপারস নিয়ে যখন কলঙ্কিত বিশ্ব রাজনীতি। রাজনীতির সঙ্গে যখন দুর্নীতি আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে যাচ্ছে, তখন তার আশ্চর্য ব্যতিক্রম কয়েকজন। পিপলস অ্যান্ড পলিটিকস বিশ্বের ৫ জন সরকার রাষ্ট্রপ্রধানকে চিহ্নিত করেছেন, যাদের দুর্নীতি স্পর্শ করেনি, বিদেশে কোনো ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নেই, উল্লেখ করার মতো কোনো সম্পদও নেই। বিশ্বের সবচেয়ে সৎ এই পাঁচজন সরকার প্রধানের তালিকায় তৃতীয় স্থানে আছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘পিপলস অ্যান্ড পরিটিক্স’ ১৭৩ টি দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানের কর্মকাণ্ড বিশ্লেষণ করেছে। এ গবেষণায় সংস্থাটি ১৭ জন সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধান পেয়েছেন যাঁরা শতকরা ৫০ ভাগ দুর্নীতিমুক্ত হিসেবে উত্তীর্ণ হয়েছেন। ১৭৩ জন সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে সবচেয়ে পরিচ্ছন্ন ও সৎ সরকার প্রধান হিসেবে বিবেচিত হয়েছেন জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেল। ৫ টি প্রশ্নে মোট ১০০ নম্বরের মধ্যে তিনি পেয়েছেন ৯০। সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী লি সিয়েন লং, ৮৮ পেয়ে সৎ সরকার প্রধানদের তালিকায় দ্বিতীয় স্থান পেয়েছেন। ৮৭ নম্বর পেয়ে এই তালিকায় তৃতীয় স্থানে আছেন বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ৮৫ নম্বর পেয়ে বিশ্বে চতুর্থ সৎ সরকার প্রধান বিবেচিত হয়েছেন নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী ইরনা সোলাবার্গ। আর ৮১ নম্বর পেয়ে এই তালিকায় পঞ্চম স্থানে আছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি।

মাহাবুবা লাকি বিশাল বাংলার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক কবি ও কথা সাহিত্যিক


১৯শে অক্টোবর ২০১৯


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.