বিরোধী দলনেতা মানুষকে দলের মুখপত্র নিয়মিত পড়ার জন্য প্ররোচিত করছেন।অন্য একটি পত্রিকা জনৈক ব্যক্তির বাড়িতে গিয়ে দেখতে পেয়ে তিনি উষ্মা ব্যক্ত করেন।এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করলো প্রদেশ বিজেপি।সোমবার (৭ সেপ্টেম্বর) দলের প্রদেশ কার্যালয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলন করা হয়।সেখানে দলের মুখপাত্র সুব্রত চক্রবর্তী বলেন,মানুষ কোন পত্রিকা পড়বে তা মানুষই ঠিক করবে।বিজেপি আশা করে প্রধান বিরোধী দলের সম্বিৎ ফিরবে।বিরোধী দলনেতার এহেন আচরণ কাম্য নয়।
এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে দলের বিধায়ক রতন চক্রবর্তী রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতির কথা তুলে ধরে বিরোধীদের তীব্র সমালোচনা করেন।তাদের বিভিন্ন অভিযোগের জবাব দেওয়ার পাশাপাশি জনস্বার্থে শাসক দল ও রাজ্য সরকার কি কি করছে তা তুলে ধরেন।সম্ভবত এই প্রথম বিধায়ক রতন চক্রবর্তীকে প্রদেশ বিজেপি'র কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করতে দেখা যায়।তিনি বলেন।বর্তমান পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে মন্ত্রিসভা,বিধায়কগণ এবং শাসক দল মানুষের চাহিদা মেটানোর জন্য নিজেদের করণীয় কাজের মধ্য দিয়ে দায়িত্ব পালন করছে।বিরোধীরা সরকারের ভাবমূর্তিকে নষ্ট করতে তথ্যপ্রমাণ ছাড়াই ভিত্তিহীন অভিযোগ করছে।যারা দেশের সংবিধান মানতে চায়না তারা গণতান্ত্রিক পরিবেশকে নষ্ট করছে।বিজেপি সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর রাজ্যের বন্ধ হয়ে যাওয়া সমস্ত দুয়ার খুলেছে।গণতন্ত্রের চারটি স্তম্ভ এক সঙ্গে কাজ করছে।তাতে ব্যাঘাত ঘটাতে চাইছে স্বার্থান্বেষীরা।প্রশাসনে স্বচ্ছতা আনতে ই টেন্ডার প্রক্রিয়া চালু করা হয়েছে।তাতে নিরপেক্ষতা বজায় থাকবে।প্রতিটি দপ্তরে অনলাইন ব্যবস্থা চালু করার প্রক্রিয়া চলছে।বিরোধীদের তিনি কৃতকর্মের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে গঠনমূলক বিরোধীদের ভূমিকা পালনের পরামর্শ দেন।এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে দলের আর এক মুখপাত্র নবেন্দু ভট্টাচার্যও উপস্থিত ছিলেন।ছবিঃ সুমিত কুমার সিংহ
আরশিকথা
৭ই সেপ্টেম্বর ২০২০