২১ এপ্রিল এই অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধনে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের সমাজকল্যাণ ও সমাজশিক্ষা দপ্তরের মন্ত্রী সান্তনা চাকমা, ভারতীয় জনতা পার্টির রাজ্য যুবমোর্চার সভাপতি টিঙ্কু রায়, ধর্মনগর কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ ড. প্রাণতোষ রায় সহ রাজ্যের বিশিষ্ট গুণীজনেরা।
কোনপ্রকারের রংতুলি ব্যবহার না করে Strips of papers –কে quill করে একেকটা শেপে এনে যে এত সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা যায় তা না দেখলে
বিশ্বাস করা যাবেনা। এই অসাধারণ কলার শিল্পীর নাম অসীম কান্তি পাল। যিনি বহুদিন
ধরে এক সৃষ্টি সুখের উল্লাসে এই সৃষ্টিধর্মী কাজে নিজেকে যুক্ত করে রেখেছেন। অসীমবাবু আগরতলায় শিক্ষকতার কর্মজীবন সফলতার সঙ্গে শেষ করে বর্তমানে কোলকাতায় বাস করছেন। কুইলিং আর্ট ছাড়া পেইন্টিং, ক্র্যাফটস এবং ফটোগ্রাফির নেশায় সর্বদা মেতে থাকেন। নানা শিল্পকর্মে বুঁদ হয়ে নিজ অস্তিত্বে নিরবে করে যাচ্ছেন বহু সৃষ্টিধর্মী কাজ। ‘প্যাপিরাস’ মানে কাগজ। অনবদ্য এক সুন্দর ভাবনার সাথে সৃষ্টিসুখের উল্লাস মিলেমিশে
এক আকাশ হয়ে রংবেরঙের কাগজের কারুকার্যে অসাধারণ চিত্রে পরিস্ফুট হচ্ছে আর অপরের চোখে অনবদ্য হয়ে উঠছে। এখানেই শিল্পটির সার্থকতা যা এনে দিলো ড.মন্দাক্রান্তা রায়ের ‘সম্বোধি’।
আরশি কথা’র সাথে কথাপ্রসঙ্গে মন্দাক্রান্তা জানায় ‘Qulling Art’ সাধারণত ভারতবর্ষে হয়না। ইউরোপিয়ান
দেশে হয়। সূত্র অনুযায়ী অসীমবাবুই প্রথম ব্যক্তি যিনি এই আর্ট নিয়ে কাজ করে
চলেছেন।
আরশি কথা’ এইধরনের উদ্যোগের মাধ্যমে আমাদের
ঋদ্ধতার পরশে রাখার জন্য ড. মন্দাক্রান্তা রায় এবং ‘সম্বোধি’কে সাধুবাদ জানায়। পাশাপাশি এই অপরূপ চিত্রকলার
সাথে আমাদের পরিচিতি ঘটিয়ে দেবার জন্য সৃজন অসীম কান্তি পালকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন
করছে।
এডিটর ডেস্ক, আরশিকথা