নিজস্ব প্রতিনিধি,আগরতলাঃ
প্রতি বছরের ন্যায় এবারো শুরু হতে চলেছে ঐতিহ্যবাহী খারচি উৎসব। ৭দিন ব্যাপী এই প্রাচীন উৎসবের সূচনা হচ্ছে শুক্রবার( ২০জুলাই) থেকে। বৃহস্পতিবার(১৯জুলাই) এর প্রস্তুতি পর্ব চলছে। কথিত রয়েছে রাজন্য স্মৃতি বিজড়িত এই উৎসব উত্তরপূর্ব ভারতের প্রাচীনতম একটি উৎসব। ত্রিপুরা ছাড়াও পার্শ্ববর্তী রাজ্য আসাম, পশ্চিমবঙ্গ এমনকি বাংলাদেশ থেকেও প্রচুর ভক্তপ্রাণ মানুষ এই উৎসব ও মেলা উপভোগ করতে ভীড় জমান প্রতি বছর।
প্রথা অনুযায়ী বৃহস্পতিবার ১৪জন কুলদেবতাকে মন্দির থেকে বের করে নিকটবর্তী তহশিল কাছারি সংলগ্ন হাওড়া নদীর দেবতাঘাটে নিয়ে গিয়ে ঘাট দর্শন করানো হয়। প্রতি বছর রাজকীয় মর্যাদায় এই পর্ব সম্পন্ন হয়ে থাকে।
আগরতলা শহর থেকে প্রায় ৭ কিমি দূরে অবস্থিত এই চতুর্দশ দেবতা মন্দির। এই স্থান পুরাতন আগরতলা নামে খ্যাত। একসময় এই পুরাতন আগরতলাই ত্রিপুরা রাজ্যের রাজধানী ছিলো। যার আরেক নাম ছিলো পুরাতন হাভেলী।
তৎকালীন রাজারা এইখানেই স্থাপন করেছিলেন তাদের ১৪জন কুলদেবতাকে। তাই একে ১৪ বা চতুর্দশ দেবতা বাড়ি বলা হয়। একসময় পরবর্তী রাজারা রাজধানী স্থানান্তরিত করে নিয়ে আসে বর্তমান আগরতলা শহরে। কিন্তু ১৪জন কুলদেবতাকে সেখানেই রেখে আসেন।
প্রথা অনুযায়ী ১৪জন দেবতার মধ্যে শুধুমাত্র তিনজন দেবতারই সারা বছর পূজা হয়ে থাকে। বাকি দেবতারারা তখন মন্দিরের সিন্দুকের ভেতরে থাকেন। এই খারচি উৎসবের ৭ দিনই শুধু ১৪জন দেবতার পূজা হয়। এইসময় সবাই যাতে দেবতা দর্শন করতে পারেন তাই মন্দির উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।
চতুর্দশ দেবতার মন্দিরে উদযাপিত খারচি পূজার যাবতীয় খরচ বহন করেন রাজ্য সরকার। বৃহস্পতিবার প্রস্তুতিপর্বের সন্ধ্যালগ্নে রীতি রেওয়াজ মেনেই চলে প্রাক উৎসব পূজার্চনা।
উৎসবকে কেন্দ্র করে মন্দিরের আশেপাশে বিশাল মেলা বসে। দোকানীরা পূজার যাবতীয় উপকরণ সহ নানা পসরা সাজিয়ে বসেন মেলা প্রাঙ্গণে।
মেলাকে কেন্দ্র করে দেশবিদেশের সাধু সন্ন্যাসীরাও হাজির হন এই উৎসবে অংশগ্রহণ করতে।
তাদের আগমনে উৎসব প্রাঙ্গণ এক পুণ্য তীর্থভূমিতে পরিণত হয়। দলে দলে ধর্মপ্রাণ মানুষ পুণ্য লাভের আশায় দূরদূরান্ত থেকে ছুটে আসেন রাজ্যের ঐতিহ্যবাহী এই খারচি উৎসবে। বৃহস্পতিবারের তীব্র গরমকে উপেক্ষা করেও বহু ভক্তপ্রাণ মানুষ উৎসবের আনন্দ উপভোগ করতে ভীড় জমায় চতুর্দশ দেবতা মন্দিরে। শুক্রবার থেকে জাতিধর্ম নির্বিশেষে সবাই ৭দিন ব্যাপী এই উৎসবের আনন্দে গা ভাসিয়ে দেওয়ার জন্য প্রস্তুত।
ছবিঃ নিজস্ব
১৯শে জুলাই ২০১৮ইং
প্রতি বছরের ন্যায় এবারো শুরু হতে চলেছে ঐতিহ্যবাহী খারচি উৎসব। ৭দিন ব্যাপী এই প্রাচীন উৎসবের সূচনা হচ্ছে শুক্রবার( ২০জুলাই) থেকে। বৃহস্পতিবার(১৯জুলাই) এর প্রস্তুতি পর্ব চলছে। কথিত রয়েছে রাজন্য স্মৃতি বিজড়িত এই উৎসব উত্তরপূর্ব ভারতের প্রাচীনতম একটি উৎসব। ত্রিপুরা ছাড়াও পার্শ্ববর্তী রাজ্য আসাম, পশ্চিমবঙ্গ এমনকি বাংলাদেশ থেকেও প্রচুর ভক্তপ্রাণ মানুষ এই উৎসব ও মেলা উপভোগ করতে ভীড় জমান প্রতি বছর।
প্রথা অনুযায়ী বৃহস্পতিবার ১৪জন কুলদেবতাকে মন্দির থেকে বের করে নিকটবর্তী তহশিল কাছারি সংলগ্ন হাওড়া নদীর দেবতাঘাটে নিয়ে গিয়ে ঘাট দর্শন করানো হয়। প্রতি বছর রাজকীয় মর্যাদায় এই পর্ব সম্পন্ন হয়ে থাকে।
আগরতলা শহর থেকে প্রায় ৭ কিমি দূরে অবস্থিত এই চতুর্দশ দেবতা মন্দির। এই স্থান পুরাতন আগরতলা নামে খ্যাত। একসময় এই পুরাতন আগরতলাই ত্রিপুরা রাজ্যের রাজধানী ছিলো। যার আরেক নাম ছিলো পুরাতন হাভেলী।
তৎকালীন রাজারা এইখানেই স্থাপন করেছিলেন তাদের ১৪জন কুলদেবতাকে। তাই একে ১৪ বা চতুর্দশ দেবতা বাড়ি বলা হয়। একসময় পরবর্তী রাজারা রাজধানী স্থানান্তরিত করে নিয়ে আসে বর্তমান আগরতলা শহরে। কিন্তু ১৪জন কুলদেবতাকে সেখানেই রেখে আসেন।
প্রথা অনুযায়ী ১৪জন দেবতার মধ্যে শুধুমাত্র তিনজন দেবতারই সারা বছর পূজা হয়ে থাকে। বাকি দেবতারারা তখন মন্দিরের সিন্দুকের ভেতরে থাকেন। এই খারচি উৎসবের ৭ দিনই শুধু ১৪জন দেবতার পূজা হয়। এইসময় সবাই যাতে দেবতা দর্শন করতে পারেন তাই মন্দির উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।
চতুর্দশ দেবতার মন্দিরে উদযাপিত খারচি পূজার যাবতীয় খরচ বহন করেন রাজ্য সরকার। বৃহস্পতিবার প্রস্তুতিপর্বের সন্ধ্যালগ্নে রীতি রেওয়াজ মেনেই চলে প্রাক উৎসব পূজার্চনা।
মেলাকে কেন্দ্র করে দেশবিদেশের সাধু সন্ন্যাসীরাও হাজির হন এই উৎসবে অংশগ্রহণ করতে।
তাদের আগমনে উৎসব প্রাঙ্গণ এক পুণ্য তীর্থভূমিতে পরিণত হয়। দলে দলে ধর্মপ্রাণ মানুষ পুণ্য লাভের আশায় দূরদূরান্ত থেকে ছুটে আসেন রাজ্যের ঐতিহ্যবাহী এই খারচি উৎসবে। বৃহস্পতিবারের তীব্র গরমকে উপেক্ষা করেও বহু ভক্তপ্রাণ মানুষ উৎসবের আনন্দ উপভোগ করতে ভীড় জমায় চতুর্দশ দেবতা মন্দিরে। শুক্রবার থেকে জাতিধর্ম নির্বিশেষে সবাই ৭দিন ব্যাপী এই উৎসবের আনন্দে গা ভাসিয়ে দেওয়ার জন্য প্রস্তুত।
ছবিঃ নিজস্ব
১৯শে জুলাই ২০১৮ইং