অনুসন্ধানী প্রতিবেদন...
এস আর এ হান্নান, বাংলাদেশ : বাংলাদেশের মাগুরা জেলাধীন মহম্মদপুর যেনো নামেই ভিক্ষুকমুক্ত উপজেলা। প্রকৃতপক্ষে বহূ নারী-পুরুষ এখনও ভিক্ষাবৃত্তির সাথে সম্পৃক্ত। অথচ ২০১৭ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি ওই উপজেলাকে আনুষ্ঠানিকভাবে ভিক্ষুকমুক্ত উপজেলা হিসেবে ঘোষণা দেয় প্রশাসন।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখাগেছে, এখনও প্রতিনিয়ত ভিক্ষাবৃত্তি করছেন। ভিক্ষুক ও ভিক্ষাবৃত্তির চিত্র নিত্যদিনের।
ছেলেপুলেরা খেতে পরতে না দেওয়ায় অধিকাংশ ভিক্ষুকই বেছে নিয়েছেন মানুষের কাছে হাত পেতে ভিক্ষাবৃত্তি করার মতো লজ্জাজনক পেশা। এসব ভিক্ষুকরা সরকারি কোনো সহায়তাও পাননা বলে জানান।
উপজেলার মৌশা গ্রামের আমিন উদ্দিন মোল্যা (৬৫) বলেন, ২ ছেলের কেউ খাতিপরতি দেয়না। বৃদ্ধ স্ত্রী ও নিজের প্যাট চালাতি ভিক্কে হরতি অয়। বালিদিয়া গ্রামের মৃত: আলেক খাঁনের স্ত্রী তহুরণ বিবির (৫৫) ২ ছেলে-মেয়েই বাকপ্রতিবন্ধী। পরের বাড়ি থাকেন। তিনি বলেন, ভিক্ষে ছাড়া কি করে প্যাট চালাবো? সূর্যকন্ডু গ্রামের পঙ্গু আমজেদ আলী (৬৪) বলেন, ২ ছেলে, ২ মেয়ে ও বউয়ের জন্য ভিক্ষে করতে হয়। কানুটিয়া গ্রামের শতবর্ষী শাহাদৎ হোসেন বলেন, এক মেয়ে ও এক ছেলের মুহি খাবার তুলে দিবার জন্যি বিক্কে করতি অয়।
শুধু আমিন উদ্দিন, তহুরণ, আমজেদ বা শাহাদৎ নয়; উপজেলার অসংখ্য নারী-পুরুষ এখনও ভিক্ষাবৃত্তি করেন। অথচ এই উপজেলাকে দীর্ঘ এক বছর ৫ মাস আগে ভিক্ষুকমুক্ত উপজেলা হিসেবে ঘোষণা দেয় প্রশাসন। নামেই ভিক্ষুকমুক্ত উপজেলা নয়, কার্যত: ভিক্ষুকমুক্ত মডেল উপজেলা হিসেবে গড়ে তুলতে সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তরগুলোকে আরো বেশি উদ্যোগী হওয়া দরকার বলে মনে করেন স্থানীয় সচেতন মহল।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ সাদিকুর রহমান বলেন, উপজেলার সকল ভিক্ষুককেই সরকারিভাবে কিছুনা কিছু দেওয়া হয়েছে। অল্প সংখ্যক ভিক্ষুক ভিক্ষাবৃত্তি করলেও বেশিরভাগ ভিক্ষুক ভিক্ষাবৃত্তি ছেড়ে দিয়েছেন। শতভাগ ভিক্ষুকমুক্ত করতে বিভিন্ন কর্মকান্ড চলমান রয়েছে বলেও তিনি জানান।
১৩ই আগস্ট ২০১৮ইং
১৩ই আগস্ট ২০১৮ইং