আরশি কথা

আরশি কথা

No results found
    Breaking News

    অস্তিত্বহীন হাসপাতালে ৫ নার্স !!...ঘোড়ার আগে গাড়ি

    আরশি কথা
    অনুসন্ধানী প্রতিবেদন....
    এস আর এ হান্নান, বাংলাদেশ : বাংলাদেশের মাগুরা জেলাধীন মহম্মদপুর উপজেলার বিনোদপুরের কোথাও ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল নেই। নেই কোনো অবকাঠামো বা স্থাপনার অস্তিত্ব। কবে কখন কোথায় গড়ে উঠবে প্রতিষ্ঠান তারও কোনো হদিস নেই। এমনই এক প্রস্তাবিত হাসপাতালে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে ৫ জন নার্স। এ যেনো ঘোড়ার আগে গাড়ি চলার মতো অবিশ^াস্য, অকল্পনীয় ও হাস্যকর অবস্থা। অনুসন্ধানে দেখাগেছে, উপজেলার বিনোদপুরে সাবসেন্টার ব্যতিত কোথাও ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের কোনো স্থাপণা বা কার্যক্রম নেই। স্থানীয়রাও লোকমুখে হাসপাতালের খবর শুনেছেন কিন্তু বাস্তবে দেখেননি। নামেই ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল। যার কোনো অবকাঠামো বা অস্তিত্ব নেই। নেই কোনো জায়গা-জমিও। অথচ অস্তিত্ববিহীন ওই প্রতিষ্ঠানে ২০১৩ সালে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে ৫ জন সিনিয়র স্টাফ নার্স। সবে প্রস্তাবিত হাসপাতাল। কবে কখন স্থাপণা নির্মাণ, বিভিন্ন পদের নিয়োগসহ চিকিৎসা কার্যক্রম শুরু হবে তার ঠিক নেই। অথচ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ২০১৭ সালের মাঝামাঝিতে বিনোদপুর ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের প্রশাসনিক অনুমোদন দেয়। কাগজে-কলমে ২০ শয্যার সরকারি হাসপাতাল থাকলেও বাস্তবতা শূণ্য। গোটা ইউনিয়নে অনুসন্ধান করেও পাওয়া যায়নি এরকম কোনো চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান। অথচ নামসর্বস্ব ওই হাসপাতালে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে ৫ জন নার্স। যারা সংযুক্তিতে মহম্মদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত রয়েছেন। স্থানীয় মকবুল হোসেন বলেন, মানষির কাছে শুনচি হাসপাতাল আছে, কিন্তুক আমরাতো দেহিনে। বিনোদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শিকদার মিজানুর রহমান বলেন, ২০ শয্যার হাসপাতাল ও সেখানে নার্স নিয়োগের কথা শুনেছি। কিন্তু তার কোনো অস্তিত্ব আমরা দেখিনা। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ড. মকছেদুল মোমিন বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, বিনোদপুরে ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের প্রশাসনিক অনুমোদ দেওয়া হয়েছে। সেখানে নিয়োগকৃত ৫ জন সিনিয়র স্টাফ নার্স সংযুক্তিতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত রয়েছে।

    ১৩ই আগস্ট ২০১৮ইং

    3/related/default