ঢলঢল মুখ তার। কালো টিপ আঁকা কপাল জুড়ে ঝাঁপায় উড়ু উড়ু চুল - দলছুট। দুই বিনুনী আর প্রজাপতি চুলবন্ধনীতে বছর পাঁচেকের ছোট্ট পরীটা কবিতা শিখতে এসেছে। মায়ের সাথে।
" কি নাম ? "
প্রশ্ন করতেই পুট করে মায়ের আড়ালে।
" বলো, সোনা - নাম বলো । "
মা সাধলেন। এবার মুচকি হাসিতে দুটো ফোকলা দাঁত গলে বিশুদ্ধ উচ্চারণ - ' আকাংখশা '!
এমা, পুরো নাম বলতে হয়। মা আবার সোচ্চার।
আবারও দাঁতের ফোঁকর গলে শুদ্ধ উচ্চারণ - ' আকাংখশা বিশোয়াস ' ।
মুহূর্তের জন্য ধন্দ লাগলো। বাঙ্গালি তো? মায়ের দিকে তাকাতেই সলজ্জ হেসে বললেন - " মানে বাংলাটা না ভাল বলতে পারেনা। পড়তে তো একেবারেই না। স্কুলেও মানে...... নিজেই ঘরে বাংলা পড়াই জানেন তো। (এবার একটু হেসে উঠে বললেন) ইংরেজি আর হিন্দি একেবারে ঠোঁটের গোঁড়ায়। তাই ভাবলাম কবিতা শিখলে যদি বাংলা উচ্চারণটা... ! "
মূল্যবোধের বিশ্ব জুড়ে বিপর্যয়, আজ কালো মেঘের মতো গিলে খাচ্ছে আমাদের দিন প্রতিদিনের অস্তিত্ব ও সত্ত্বার বিপর্যয় হয়ে। শিকড় থেকে সরে যাওয়া হা-ভাতে পণ্য সংস্কৃতির মুখোমুখি দাঁড়ানো এক সভ্যতার বিপর্যয় হয়ে।
ফলশ্রুতি ??...... ভয়ংকর আত্মবিস্মৃতি, আত্ম-অসম্মান, ক্ষয়িষ্ণু ঐতিহ্যের মূল্যবোধহীন এক ভয়াল পরিণাম।
স্পষ্ট চোখে পড়ে ধ্বংসের ছবি " বারষোরিক শনিপুজা ", "মৌশমী বাসনালয়"এ, " হুটেলের শুদ্ধ ঘড়োয়ালি খাবার "এ, "সুহাশীনি সেলফ হেলফ গ্রোফ" এ, 'আকাংখশা', 'প্রতীকশা', 'শাসওয়াতি', 'পিয়ুশ'দের অবাঙ্গালি উচ্চারণে, আর এই ভীষণ আত্মবিস্মৃত নকলনবিশি প্রবণতার পাশে দাঁড়িয়ে আমাদের মেকী গর্বের দেঁতো হাসিতে। তবে কি বছরে শুধু একবার -- ' একুশে ফেব্রুয়ারি কিংবা উনিশে মে '...!!! শুধুই কি একদিন ? ......
' আ- মরি বাঙলা ভাষা '...!! ?
সিদ্ধার্থ হালদার, ঘোষক
আকাশবাণী আগরতলা
২রা সেপ্টেম্বর ২০১৮ইং
" কি নাম ? "
প্রশ্ন করতেই পুট করে মায়ের আড়ালে।
" বলো, সোনা - নাম বলো । "
মা সাধলেন। এবার মুচকি হাসিতে দুটো ফোকলা দাঁত গলে বিশুদ্ধ উচ্চারণ - ' আকাংখশা '!
এমা, পুরো নাম বলতে হয়। মা আবার সোচ্চার।
আবারও দাঁতের ফোঁকর গলে শুদ্ধ উচ্চারণ - ' আকাংখশা বিশোয়াস ' ।
মুহূর্তের জন্য ধন্দ লাগলো। বাঙ্গালি তো? মায়ের দিকে তাকাতেই সলজ্জ হেসে বললেন - " মানে বাংলাটা না ভাল বলতে পারেনা। পড়তে তো একেবারেই না। স্কুলেও মানে...... নিজেই ঘরে বাংলা পড়াই জানেন তো। (এবার একটু হেসে উঠে বললেন) ইংরেজি আর হিন্দি একেবারে ঠোঁটের গোঁড়ায়। তাই ভাবলাম কবিতা শিখলে যদি বাংলা উচ্চারণটা... ! "
মূল্যবোধের বিশ্ব জুড়ে বিপর্যয়, আজ কালো মেঘের মতো গিলে খাচ্ছে আমাদের দিন প্রতিদিনের অস্তিত্ব ও সত্ত্বার বিপর্যয় হয়ে। শিকড় থেকে সরে যাওয়া হা-ভাতে পণ্য সংস্কৃতির মুখোমুখি দাঁড়ানো এক সভ্যতার বিপর্যয় হয়ে।
ফলশ্রুতি ??...... ভয়ংকর আত্মবিস্মৃতি, আত্ম-অসম্মান, ক্ষয়িষ্ণু ঐতিহ্যের মূল্যবোধহীন এক ভয়াল পরিণাম।
স্পষ্ট চোখে পড়ে ধ্বংসের ছবি " বারষোরিক শনিপুজা ", "মৌশমী বাসনালয়"এ, " হুটেলের শুদ্ধ ঘড়োয়ালি খাবার "এ, "সুহাশীনি সেলফ হেলফ গ্রোফ" এ, 'আকাংখশা', 'প্রতীকশা', 'শাসওয়াতি', 'পিয়ুশ'দের অবাঙ্গালি উচ্চারণে, আর এই ভীষণ আত্মবিস্মৃত নকলনবিশি প্রবণতার পাশে দাঁড়িয়ে আমাদের মেকী গর্বের দেঁতো হাসিতে। তবে কি বছরে শুধু একবার -- ' একুশে ফেব্রুয়ারি কিংবা উনিশে মে '...!!! শুধুই কি একদিন ? ......
' আ- মরি বাঙলা ভাষা '...!! ?
সিদ্ধার্থ হালদার, ঘোষক
আকাশবাণী আগরতলা
২রা সেপ্টেম্বর ২০১৮ইং