সময়ের সাথে সবই চলে যায়, চোখের সামনে আগামীর সঠিক চিত্র থাকুক কিংবা, না থাকুক। বিদায়ের সুর যতোই করুণ হোক, ওই সুরেই কোথাও না কোথাও জড়িয়ে থাকে নতুনের আগমনের সুমিষ্ট তান। চলার পথে সময় তার নিজস্ব গরিমায় আমাদেরকে জানান দেয় ফেলে আসা দিনের। গড়ে ওঠে স্মৃতি। এভাবেই পুরোনোকে আবার নতুন করে দেখা হয় তার মূল্যবোধের মাপকাঠিতে।
আরশিকথা'র পরিবারের সাথে জুড়ে যাওয়া সময়ের হিসেব শুধু ক্যালেন্ডারের পাতা নয় --- সম্পর্কের। 'অতিথি কলাম' এ লিখতে গিয়ে এখন আর নিজেকে 'অতিথি' বলে মনে হয় না। একটা দায়িত্ববোধ আর ভালোলাগা মনে কাজ করে একসাথে। টেবিলে সাজানো গতবছরের অর্জিত 'লেখনী সম্মান' আমাকে বার বার সজাগ হতে শেখায় অনুপ্রেরণা হয়ে। পেরিয়ে আসা সময়ের সংযোজন শুধুই সুখ-স্মৃতি।
প্রবাসী জীবনে ভৌগোলিক দূরত্ব উপেক্ষা করার নয়। সকলের সাথে পায়ে পা মিলিয়ে না চলতে পারার একটা দুঃখ থেকেই যায়। তবে, আরশিকথা পরিবারে সাহিত্যচর্চার সাথে সাথে পরিচয়ের গন্ডিতে সংযোজিত হয়েছে সাহিত্যানুরাগী অনেক নতুন মুখ -- যাদের অনুপ্রেরণা আমার বিদেশের জীবনেও বাংলাকে অনেক কাছে ধরে রাখার অনেক বড় সহায়ক। তাই অসংখ্য ধন্যবাদ আরশিকথাকে।
চির অপেক্ষিত বাংলা নতুন বছর আবারও আমাদের দোর গোড়ায়। একে স্বাগত জানাই আরশিকথার সাথে যুক্ত সকল লেখকের কলম-শক্তির আঙ্গিকে। লেখার সৌন্দর্যে ও পটুতায় আগামী দিনে সেজে উঠুক আরশিকথা অপরূপ সাজে। নতুন বছর নিয়ে আসুক আরও সুদিনভরা সাফল্য। প্রতিশ্রুতি রইলো সাথে থাকার।
নতুন বছর সকলের জন্য নিয়ে আসুক সুস্বাস্থ্য, শান্তি ও সমৃদ্ধি -- এই শুভকামনা।
জবা চৌধুরী, আটলান্টা
৬ই এপ্রিল ২০১৯ইং