তন্ময় বনিক,আগরতলাঃ
আগরতলায় মহারাজা বীর বিক্রম বিমানবন্দরে পদার্পণ। সেখান থেকে হেলিকপ্টারে করে চন্দ্রপুর উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে হ্যালিপেডে অবতরণ। আর এরপর মাতা ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরে পূজা দিয়ে উদয়পুর স্পোর্টিং কমপ্লেক্সে জন সমাবেশে যোগদান।
আগরতলায় মহারাজা বীর বিক্রম বিমানবন্দরে পদার্পণ। সেখান থেকে হেলিকপ্টারে করে চন্দ্রপুর উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে হ্যালিপেডে অবতরণ। আর এরপর মাতা ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরে পূজা দিয়ে উদয়পুর স্পোর্টিং কমপ্লেক্সে জন সমাবেশে যোগদান।
সব মিলিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঘণ্টা খানেকের উদয়পুর সফর উদয়পুরবাসীদের কাছে স্মরণীয় হয়ে রইলো। স্পোর্টিং কমপ্লেক্সে প্রকৃতির খামখেয়ালিপনাকে উপেক্ষা করে সভ্য সমর্থকদের উপস্থিতি ছিলো আকৃষ্ট করার মতো। আবেগে জড়িয়ে যান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
করতালি, মোদি মোদি শ্লোগানে ভেসে যায় আকাশ বাতাস। এরই মাঝে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, ত্রিপুরা হচ্ছে পরিবর্তনের প্রতীক। ত্রিপুরাতে ভাজপা দেখিয়ে দিয়েছে ইচ্ছা শক্তি থাকলে সঠিক দিশাতে সরকার পরিচালনা করা যায়। এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায় রাজ্যকে এবং দেশকে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আরও বলেন, চৌকিদারকে হটানোর জন্য দিল্লীতে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি সব জোট। রাজ্যে কুস্তি আর দিল্লীতে দোস্তি। কিন্তু এই চৌকিদারের ভরসা সাধারণ মানুষ। এর আগে কোনো প্রধানমন্ত্রী এমনভাবে নজর দেয়নি পূর্ব এবং উত্তর পূর্ব ভারতের দিকে। কিন্তু বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকার সদভাবনা নিয়ে উত্তর পূর্ব ভারতের উন্নয়নের জন্য কাজ করেছে।
সমাবেশে পশ্চিম ও পূর্ব ত্রিপুরা লোকসভা আসনে মনোনীত প্রার্থী প্রতিমা ভৌমিক এবং রেবতী ত্রিপুরা এদিন প্রধানমন্ত্রীর আশীর্বাদ গ্রহণ করেন। সঙ্গে ছিলেন বিজেপি'র ত্রিপুরা প্রদেশের রাজ্য প্রভারী সুনীল দেওধর, মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব, উপমুখ্যমন্ত্রী যিষ্ণু দেববর্মণ সহ মন্ত্রী সভার সকল সদস্য ও সদস্যাবৃন্দ।
প্রধানমন্ত্রীকে শুরুতে সুবিশাল ফুলের মালা দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়। আর শেষে এই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিই বললেন হিন্দুস্তান চৌকিদার।
ছবিঃ সুমিত কুমার সিংহ
৭ই এপ্রিল ২০১৯ইং