তন্ময় বনিক, আগরতলাঃ
আগরতলা পুর নিগম তাদের ঘাটতি বাজেট পূরণ করতে সম্পত্তি কর আদায়ের উপর জোর দিচ্ছে। সম্পত্তি কর যেন কেউ ফাঁকি দিতে না পারে সেই ব্যবস্থা করা হচ্ছে। জিআইএস ম্যাপিং এর মাধ্যমে শহরবাসীর অবস্থান নির্ণয় করা হবে। দেখা হবে যার যার সম্পত্তি অনুযায়ী কর দেওয়া হচ্ছে কি না।
আগরতলা পুর নিগম তাদের ঘাটতি বাজেট পূরণ করতে সম্পত্তি কর আদায়ের উপর জোর দিচ্ছে। সম্পত্তি কর যেন কেউ ফাঁকি দিতে না পারে সেই ব্যবস্থা করা হচ্ছে। জিআইএস ম্যাপিং এর মাধ্যমে শহরবাসীর অবস্থান নির্ণয় করা হবে। দেখা হবে যার যার সম্পত্তি অনুযায়ী কর দেওয়া হচ্ছে কি না।
তারপর যারাই কর ফাঁকি দিচ্ছেন তাদের কাছ থেকে জরিমানা আদায় করা হবে। দেখা যায় কেউ কমার্শিয়াল সেক্টরকে বাড়ি হিসেবে দেখাচ্ছেন। কেউ ছাদযুক্ত ঘরকে টিনের ছাউনি হিসেবে দেখাচ্ছেন। কেউ হয়তো চল্লিশ বর্গফুট পাকা বিল্ডিং কে কুড়ি বর্গফুট হিসেবে দেখাচ্ছেন। জিআইএস ম্যাপিং এর ফলে আর তা সম্ভব হবে না ।
কর বাড়ানো না হলেও কেউ যেন কর ফাঁকি দিতে না পারেন সেই বিষয়টিই এখন নিশ্চিত করতে চাইছে পুর নিগম। মঙ্গলবার ( ২৫জুন) আগরতলা পুর নিগমের বাজেট পেশ করা হয়। তাতে আয় দেখানো হয় ২০৭ কোটি ৬ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। আর খরচ ২০৮ কোটি ৫ লক্ষ ৮১ হাজার টাকা।
অর্থাৎ বাজেটে ঘাটতি ৯৯ লক্ষ ৩১ হাজার টাকা। এই ঘাটতি কর আদায়ের মাধ্যমে পূরণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আগরতলা পুর নিগম। মেয়র ডঃ প্রফুল্লজিৎ সিনহা জানান, ৯১ হাজার হাউজ হোল্ডার আছেন। এর মধ্যে মাত্র ৬০ হাজার হাউজ হোল্ডার কর প্রদান করেন। তাই এখন থেকে প্রোপার্টি ট্যাক্স যথাযথ ভাবে আদায় করা হবে।
বাজেট পেশে মেয়র ডঃ প্রফুল্লজিৎ সিনহা, ডেপুটি মেয়র সমর চক্রবর্তী, অন্যান্য মেয়র পারিষদ ও কাউন্সিলাররা উপস্থিত ছিলেন। নিগমের কমিশনার ডঃ শৈলেষ যাদব বলেন, জিআইএস ম্যাপিং চালু হলে কর ফাঁকি দেওয়া সম্ভব হবে না। কার বাড়ির অবস্থান কি রকম তা সহজেই দেখা যাবে।
স্মার্ট সিটি এবং শহরে সবুজায়নের ব্যাপারেও বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছে নিগম কর্তৃপক্ষ। সেই অনুযায়ী কাজ চলছে বলে জানান তিনি।
ছবিঃ সুমিত কুমার সিংহ
২৫শে জুন ২০১৯