“ভেদাভেদ”
আমি তোমাকেই ভালোবাসি হে প্রভু, চিনিনা অন্য কিছু,
তাই দ্যুলোক-ভূলোক ফেলে এসে, মাথা তোমাতেই করি নিচু।
আমি খুজিনা যে বুধ, শুক্র, শনি, মঙ্গল, ছায়াপথ,
আমি পেতে চাই শুধু শূন্যে মিলিয়ে, তোমাতে যাবারই রথ।
আমি বুঝিনা প্রভেদ, কুরআন-বেদ-বাইবেল-ত্রিপিটক,
এতো ভেদা-ভেদে আমি, মনে হয় বুঝি, কারাগারে আছি আটক।
কত ভিক্ষু-ব্রাহ্মণ, কিতাব চুম্বন, কত মাওলানা-মুফতি,
আমি চাইনাগো কিছু, আলেয়ার পিছু, চাই শুধু মুক্তি।
আমি দেখেছি মসজিদ-মন্দির-প্যাগোডা, আরও কত শত গির্জা,
আমি দেখেছি প্রভেদ সৈয়দ-শেখ, মিয়াঁ-কাজী মির্জা।
সব মল্লিক, সাহা, ঠাকুর, বর্মণ, কাজী, কুলু, দত্ত,
যদি সব মিলে এক মানুষ হতাম, প্রভু শান্তি আসিত কত।
সব ধর্মে-বর্ণে-সম্প্রদায়ে, ছুঁয়ে দিলে আসে ক্রোধ,
প্রভু ধর্মের আগে মানুষ হবার, এনে দাও মোর বোধ।
আমি শুনি উলুধ্বনি, আযানের বানী, গির্জায় শুনি ঘণ্টা,
প্রভু সব মিলে এক মানুষ করে দাও, নিষ্পাপ করি মনটা।
আমি দেখেছি শ্মশান-সমাধি চিতায়, কাঁধে নিয়ে শব দেহ,
যদি থেকে থাকে কভু দ্বিতীয় জীবন, সেথা ভেদাভেদ নাহি কেহ।
আমি মোয়াজ্জিন-পোপ, ইমাম-ব্রাম্মন, আমল নিয়ে কত গর্ব,
প্রভু সম্প্রীতি ছাড়া-অহংকারী যারা, তুমি তাকে কর খর্ব।
আমি লোকে মুখে প্রভু বলতে শুনেছি, ঈশ্বর, আল্লাহ্, ভগবান,
আমি কখনো ভাবিনা মারিয়ার জঠরে, যীশু তব সন্তান।
আমি নামায পড়েছি, পুজাও দেখেছি, গিয়েছি গির্জা, প্যাগোডা,
সাঁতরে সাঁতরে প্রার্থনা দেখেছি, প্রভু ডুব দিয়ে দেখি শঠতা।
দিন শেষে ভাবি শ্রেষ্ঠ সেই বানী, এ মনে নিয়েছে ঠাই,
সবার উপরে মানুষ সত্য, প্রভু তাঁহার উপরে নাই।
--- মনোয়ার হোসাইন মানিক, বাংলাদেশ
--- মনোয়ার হোসাইন মানিক, বাংলাদেশ
নাস্তিক্য শিঘ্রম। এরা থাকবেই-চরাচরের আগাছা কিছু কল্ল্যান কর কিছু প্রয়োজনহীন 'এরা যত বেশি জানে,অহংকারএ তত কম মানে।
উত্তরমুছুন